• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    'প্রথম ইনিংসে রান কম হয়ে গেছে'

    'প্রথম ইনিংসে রান কম হয়ে গেছে'    

    প্রথম দুই দিন শেষে যদি ম্যাচের পাল্লা অস্ট্রেলিয়ার দিকে হেলে থাকে, তৃতীয় দিন শেষে তা একটু হলেও বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু বিভীষিকার এক চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ ছিটকে পড়ল ম্যাচ থেকে। মুশফিক অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংস নয়, প্রথম ইনিংসে রান কম হওয়ার কথা বললেন আগে।

    চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন উইকেটে এমন কোনো জুজুই ছিল না। কিন্তু ফ্ল্যাট উইকেটেও বাংলাদেশ হোঁচট খেয়েছে শুরু থেকেই, শেষ পর্যন্ত ৩০৫ রানের বেশি হয়নি। নাসির হোসেনও পরশু সংবাদ সম্মেলনে এসে বলে গিয়েছিলেন, প্রথম ইনিংসের রান অন্তত ১০০-১৫০ পর্যন্ত কম হয়ে গেছে। মুশফিকের কথায়ও আজ সেটির প্রতিধ্বনি, ‘সেকেন্ড ইনিংসে রান কম হওয়া তো স্বাভাবিক। নরমালি টেস্টের প্রথম দিনে তো ভালো থাকবে, দ্বিতীয় দিন থেকে আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকবে। আমার মনে হয় সব মিলে এই টেস্টে সেকেন্ড ইনিংসের চেয়ে প্রথম ইনিংসে আমাদের জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে।। এরকম ফ্ল্যাট উইকেটে প্রথম দিনে অন্তত উইকেটে এমন কোন স্পিন ছিলো না যেটা কিনা খেলা অসম্ভব বা ঝুঁকি নেওয়ার মতো। তো আমার মনে হয় ওই জায়গাটায় আমরা অনেকখানি পিছিয়ে গেছি।  তৃতীয় বা চতুর্থ দিনে গিয়ে যদি দেখেন এরকম খুবই বাজে একটা উইকেট হয়ে যাবে, আপনি দ্বিতীয় ইনিংসে পিছিয়ে থাকবেন তখন এটা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। আর আমরা যদি প্রথম ইনিংসে ৩৫০+ বাঁ ৪০০ এর কাছাকাছি করতে পারতাম তাহলে হয়তো বা ওদেরকে ১৫০ রানের লিড দিতে পারতাম, তাহলে হয়তো অন্যরকম খেলা হতে পারতো।।’

     

     

    বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়েও খুব অসন্তুষ্ট নন মুশফিক, ‘আমার মনে হয়, এই উইকেট থেকে যতটুকু সুবিধা পাওয়ার কথা সেটা আমাদের চেয়ে তারা বেশি কাজে লাগাতে পেরেছে।‘ লায়নকে আলাদা করে কৃতিত্বও দিয়েছেন, ‘নাথান লায়ন একমাত্র বোলার যে এখান থেকে সুবিধাটা ভালোভাবে নিতে পেরেছে এবং আমাদের ব্যাটসম্যানদের কাজটা অনেক বেশি হয়ে গেছে। আমার মনে হয় যে পুরো সিরিজ জুড়ে আমাদের ব্যাটিংটা আমাদের দুর্বলতার জায়গা ছিল।’

     

     

    পুরো  সিরিজে বাংলাদেশের পক্ষে কোনো সেঞ্চুরি নেই, চট্টগ্রাম টেস্টে ফিফটি মাত্র দুইটি, মুশফিকের কথার সাক্ষ্য তো পরিসংখ্যানও দিচ্ছে!