খেলোয়াড় হিসেবেও সাকিবের ব্যাপারটা বোঝেন মিনহাজুল
সাকিব আল হাসান ছিলেন না। আবার এক দিক সংবাদ সম্মেলনের অনেকটা জুড়েই ছিলেন। দলে না থেকেও তাঁকে নিয়েই প্রশ্ন হলো সবচেয়ে বেশি। প্রশ্নবাণে জর্জর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনও স্বীকার করলেন, সাকিব না থাকলে দল ব্যাকফুটে থাকবে। তবে সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে সাকিবের ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারছেন বলেও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
ছয় মাসের জন্য টেস্ট থেকে ছুটি চেয়েছেন সাকিব আল হাসান, খবরটা পুরনো। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান নিশ্চিত করেছেন, আপাতত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন সাকিবের ‘ছুটি’ মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে চাইলে দ্বিতীয় টেস্টে ফিরতে পারেন, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন। মিনহাজুলও বলেছেন, সাকিবের জন্য টেস্ট দলের দরজা খোলা আছে। তারা আশাবাদী, দ্বিতীয় টেস্টেই হয়তো ফিরতে পারেন টেস্টের এক নম্বর অলরাউন্ডার, ‘সাকিবের ব্যাপারটা ও ছুটি চেয়েছে, দুই টেস্টের জন্য ওকে দেওয়া হয়েছে। তারপরও ও চাইলে যে কোনো সময় দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবে। সে যদি কমফোর্ট ফিল করে।’
সেটা যে প্রথম টেস্টের পর, নির্দিষ্ট করে তাও বললেন, ‘ও তো সারা বিশ্বের সব জায়গায় টানা খেলছে। তেমন কোনো লম্বা বিরতিও পায়নি। তো আমরা আশাবাদী, প্রথম টেস্টের পরেই ফিরতে পারবে।’
সাকিবকে হারানো বড় একটা ধাক্কা, সেটাও মানলেন প্রধান নির্বাচক। তবে খেলোয়াড় হিসেবেও এই অবসাদের ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারেন বলে জানালেন, ‘এটা তো চিন্তার বিষয়, দল নির্বাচন করার সময় ওর নাম সবার আগে লিখতে হয়। বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়কে তো আপনি হারাতে চাইবেন না । ও অনেক দিন ধরে দলের সঙ্গে খেলছে। ওর রেস্ট দরকার আছে। ও মানসিকভাবে অত স্ট্রং না, তাই বিশ্রাম চেয়েছে। ও কে না পাওয়াতে তো আমরা ব্যাকফুটে থাকবই। শারীরিক চাহিদা যেটা, খেলোয়াড় হিসেবে বুঝি। মনেরও ব্যাপার আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখানে ১০০ ভাগ দিতে না পারলে আপনার পারফরম্যান্সের ওপরও তার প্রভাব পড়বে।’ মিনহাজুল তাই সাকিবের সিদ্ধান্তটা সম্মান জানানোর জন্যই অনুরোধ করলেন সবাইকে, ‘ব্যাপারটা ওর ব্যক্তিগত। ও যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকে সম্মান জানাতে হবে।’
সাকিবকে না পেয়ে ১৫ জনের দলে একজন বাড়তি স্পিনার নিতে হয়েছে, সেটাও জানালেন, ‘সাকিবের জায়গায় আমরা অতিরিক্ত লেফট আর্ম নিয়েছি। সাকিব যাচ্ছে না বলে তাইজুলকে নেওয়া হয়েছে।’
সাকিবকে না পেয়ে দলের ভারসাম্যও তো হারিয়ে গেল অনেকটা!