• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    জোড়া গোলে ফিরলেন রোনালদো

    জোড়া গোলে ফিরলেন রোনালদো    

    বার্সেলোনার বিপক্ষে স্প্যানিশ সুপারকাপে রেফারিকে ধাক্কা দেওয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাঁচ ম্যাচের জন্য। নিষেধাজ্ঞা কেবল স্প্যানিশ লিগে হওয়ায় আজ চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে বাধা ছিল না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। রোনালদো ফিরলেন, সেই সাথে রিয়ালও ফিরলো জয়ের ধারায়। চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে শুভসূচনাই করলো রিয়াল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাইপ্রাসের চ্যাম্পিয়ন আপোয়েল নিকোসিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে জিদানের দল। জোড়া গোল করেছেন রোনালদো।

     

    লিগে টানা দুই ড্রয়ে রোনালদোর অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিল রিয়াল। রিয়ালের সমর্থকদের মুখে হাসি ফেরাতে রোনালদো নিলেন কেবল ১২ মিনিট। প্রতি আক্রমণে বাঁ-প্রান্ত থেকে বেলের নিখুঁত ক্রসে আপোয়েল কিপার ওয়াটাম্যানকে পরাস্ত করেন ‘সিআর৭’। প্রথমার্ধে হ্যামস্ট্রিং-এর ইঞ্জুরির কারণে ২৫ মিনিটে কোভাচিচের বদলি হয়ে নামেন টনি ক্রুস। প্রথমার্ধে রোনালদোর গোলের পর আর তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি রিয়াল।

     

    প্রথমার্ধের কিছুটা খাপছাড়া রিয়াল স্বরূপে ফিরতে থাকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই। ৪৬ মিনিটে কারভাহালের ক্রসে শট নেন রোনালদো। সেটি ক্রসবারে লেগে গোলের ভেতরে পড়লেও লাইন পুরোপুরি অতিক্রম না করায় রেফারি গোলের বাঁশি বাজাননি। অবশ্য রিয়ালের হয়ে ব্যবধানটা দ্বিগুণ করেছেন রোনালদোই। ৫০ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে মার্সেলোর ক্রস আপোয়েলের লাগোর হাতে লাগায় পেনাল্টি পায় রিয়াল। ১২ গজ থেকে ইউসিএল-এ নিজের ১০৭তম গোল করতে ভুল করেননি রোনালদো। এর মিনিট আটেক পর রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন সার্জিও রামোস। আবারো সেই মার্সেলোর ক্রসে হেড করে রামোসের দিকে পাস বাড়ান বেল। বেলের পাসে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে গোল করেন রিয়ালের অধিনায়ক। দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিকের বেশকিছু সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো। ৮৫ মিনিটে তো আপয়েলের জালে বলও জড়িয়েছিলেন তৃতীয়বারের মত; কিন্তু অফসাইডের কারণে আর হ্যাটট্রিক করা হয়নি তার। অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকে রোনালদোর পাস থেকে মায়োরালের গোলটাও বাতিল হয়েছে সেই অফসাইডেই। শেষমেশ ঐ ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে রিয়াল।
     


    ‘এইচ’ গ্রুপে রিয়ালের মত জয় দিয়ে ইউসিএল মিশন শুরু করেছে টটেনহাম। ডর্টমুন্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পচেত্তিনোর দল। দারুণ এক প্রতি আক্রমণে ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটেই লিড নিয়ে নেয় স্পার্স। হ্যারি কেনের পাস থেকে ডর্টমুন্ড জালে বল জড়ান হিউঙ-মিন সন। অবশ্য ম্যাচের ১১ মিনিটে চমৎকার এক বাঁকানো শটে দলকে সমতায় ফেরান আন্দ্রেই ইয়ারমোলেঙ্কো। স্পার্সও ছেড়ে কথা বলেনি। ১৫ মিনিটে আবারো সেই প্রতি আক্রমণেই দলকে লিড এনে দেন কেন। রুনির পর একমাত্র ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে ইউসিএল-এ টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন এই স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ডর্টমুন্ডের ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ লক্ষ্যভেদ করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেছে, অনসাইডেই ছিলেন এই আমেরিকান।

     

    দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে পুলিসিচের মত আবারও অফসাইডে বাতিল হয় পিয়ের-এমেরিক অবামইয়াং-এর গোল। অবশ্য লাইন্সম্যানের এই সিদ্ধান্তটি নিয়েও আছে যথেষ্ট ধোঁয়াশা। এর মিনিট চারেক পর ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন কেন। ৭০ মিনিটে অবামইয়াং-এর শট হুগো লরিস লাইন থেকে ফিরিয়ে দিলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি ডর্টমুন্ডের। দ্বিতীয়ার্ধে মিসের মহড়ায় না মাতলে আরো বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো স্পার্স। ম্যাচের শেষদিকে মারিও গোটজেকে কনুই দিয়ে আঘাত করার দায়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ইয়ান ভার্টনগেন।