ব্যবধান গড়ে দিলেন পান্ডিয়াই
সংক্ষিপ্ত স্কোর, প্রথম ওয়ানডে
ভারত ২৮১/৭, ৫০ ওভার (পান্ডিয়া ৮৩, ধোনি ৭৯, কোল্টার-নাইল ৩/৪৪, স্টোইনিস ২/৫৪)
অস্ট্রেলিয়া ১৩৭/৯, ২১ ওভার(২১, লক্ষ্য ১৬৪) (ম্যাক্সওয়েল ৩৯, ধোনি ৩২, চাহাল ৩/৩০, পান্ডিয়া ২/২৮)
ফলঃ ভারত ডি-এল পদ্ধতিতে ২৬ রানে জয়ী
৮৭ রানে ৫ উইকেট নেই। যদি ভাবেন, অস্ট্রেলিয়া লাগাম টেনে ধরেছে ভারতের, তবে সেটা ভুল। ২১ ওভারে ১৬৪ রান লক্ষ্য, যদি ভাবেন অস্ট্রেলিয়ার নাগালের মধ্যে আছে তা, সেটাও ভুল। চেন্নাইয়ের প্রথম ওয়ানডেতে ভুল করেই যেন ভুল লাগাম টেনে ধরেছিল অস্ট্রেলিয়া, নাগালের-মধ্যে-থাকা-অথচ-দূর-সুদূর ম্যাচটা হারিয়েই গেছে দৃষ্টিসীমা থেকে। হারদিক পান্ডিয়ার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর চাহাল-যাদবের ‘কবজির স্পিন’ প্রথম ওয়ানডেতে জিতিয়েছে ভারতকে।
আজিঙ্কা রাহানে-রোহিত শর্মার ওপেনিং জুটি কাজে দেয়নি, টসে জেতা ভারতের মিডল অর্ডারও ধ্বসে পড়েছে শীঘ্রই। বিরাট কোহলি ও মনিশ পান্ডে শূন্যতেই শেষ, কোহলির ক্যারিয়ারে এটি ১২তম ‘ডাক’, পান্ডের দ্বিতীয়। কেদার যাদব তৃতীয় ফিফটি পাননি ১০ রানের জন্য, তার উইকেটের পরই ভারত বনে গিয়েছিল ৫ উইকেটে ৮৭-তে। অনেক ভরসার প্রতীক হয়ে এরপর নেমেছেন দীর্ঘদিন চেন্নাইয়ের ‘ঘরের ছেলে’ হয়ে থাকা ধোনি, তবে শীঘ্রই আলো কেড়ে নিয়েছেন পান্ডিয়া। দুজনের ১১৮ রানের জুটি হতাশ করেছে শুধু অস্ট্রেলিয়ানদের, ৬৬ বলে ৫টি করে চার ও ছয়ে পান্ডিয়া করেছেন ৮৩ রান।
পান্ডিয়ার আউট হওয়ার সময় ধোনির রান ৩৭, ভুবনেশ্বরকে নিয়ে এরপর তিনি যোগ করেছেন আরও ৭২ রান। ৮৮ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৭৯ রান করে আউট হওয়ার সময় ভারত পেয়ে গেছে লড়াইয়ের পুঁজি। ভুবনেশ্বর অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে।
তবে লড়াইয়ে নামতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ভারতকে। ৩০০-এর নীচে ভারতকে আটকে রাখার পর অপেক্ষা করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে, চেন্নাইয়ের আকাশ ভেঙ্গে যে নেমেছিল বৃষ্টি। অবশেষে খেলা শুরু হলো, ২১ ওভারে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়ার সামনে। অজিদের জন্য সেটা সহজ হলো না কঠিন, তার জবাব মিললো খানিক বাদেই। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে এলেন অভিষিক্ত হিলটন কার্টরাইট, ব্যর্থ হলেন প্রথমেই। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে বলার মতো স্কোর শুধু ওই ওয়ার্নারেরই, তবে তার ২৮ বলে ২৫ রানের ইনিংসও ‘টি-টোয়েন্টি’ বনে যাওয়া ম্যাচে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে ব্যর্থ।
যাদব-জাসপ্রিত বুমরাহর পর পান্ডিয়ার দুই আঘাতে ৪০ রানের নিচেই ৪ উইকেট নেই অস্ট্রেলিয়ার। সেই ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ১৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৩৯ রানের ইনিংস শুধু ক্ষণিকের আশাই যুগিয়েছিল তাদের। যুজভেন্দ্র চাহালের বলে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি, চাহাল পরে নিয়েছেন আরও দুই উইকেট। ৮ নম্বরে নেমে জেমস ফকনারের ২৫ বলে ৩২ রানের ইনিংস শুধু কমিয়েছে ব্যবধান।
চেন্নাইয়ে ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ব্যবধান হয়ে যে এদিন দাঁড়িয়েছিলেন পান্ডিয়া!