• ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    '৫০ ওভার মনে হচ্ছিল ২০০ ওভারের মতো'

    '৫০ ওভার মনে হচ্ছিল ২০০ ওভারের মতো'    

     

    ম্যাচের দুদিন আগে থেকে কলকাতায় ঝুম বৃষ্টি। ম্যাচের দিন অবশ্য বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। উল্টো তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল ক্রিকেটারদের। অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স বলেছেন, এরকম গরমের ভেতর কখনোই তাঁরা ক্রিকেট খেলেননি।

     

    আর্দ্রতা, বাতাস না থাকা, সূর্যের প্রখর তাপ; সবকিছু মিলিয়ে প্রথমে বোলিং করতে নামা অস্ট্রেলিয়ানদের রীতিমত নাভিশ্বাস উঠেছিল। দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল প্রায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কামিন্স জানালেন, ৫০ ওভার ফিল্ডিং করাই অসম্ভব হয়ে পড়ছিল, “ দলের সবাই বলছে, এরকম গরমে কেউ ওয়ানডে খেলেনি তাঁদের ক্যারিয়ারে। ৫০ ওভার ফিল্ডিং করাকে মনে হয়েছে ২০০ ওভারের সমান। ১৫ ওভার পরেই দেখি ম্যাথু ওয়েড হাত পা ছড়িয়ে মাটিতে বসে পড়ছে বারবার। এটা খেলার জন্য মোটেই ভালো কন্ডিশন ছিল না।”

     

    কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ সফর করেছেন স্মিথরা। চট্টগ্রাম টেস্টে গরমে বেশ নাজেহাল হতে হয়েছে হ্যান্ডসকম্বসহ অনেক অজি ক্রিকেটারকেই। কামিন্স বলছেন, কলকাতার গরম চট্টগ্রামের মতো না হলেও অনেকটা ঢাকার মতো ছিল, “কলকাতার আবহাওয়া অনেকটাই ঢাকার মতো লেগেছে। চট্টগ্রামের চেয়ে একটু কম। সবারই অনেক কষ্ট হয়েছে বোলিং, ফিল্ডিং করতে।”

     

    কামিন্স, কোল্টার নাইল ও কেন রিচার্ডসন তিনজন পেসারই নিজের প্রথম স্পেল করার পর মাঠের বাইরে গিয়ে বিশ্রাম নিয়েছেন। কামিন্স জানালেন, বারবার জার্সি বদলানোর প্রয়োজন বোধ করছিলেন, “জার্সি অতিরিক্ত ঘেমে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল কিছুক্ষণ পরপর পুরো জামা বদলে ফেলি। দুই-এক ওভার করার পরেই বরফ লাগাতে হচ্ছিল শরীরে। শরীর ঠাণ্ডা করে আবারো বোলিংয়ে আসতে হয়েছে। এটা বোলারদের জন্য খুবই কষ্টকর।”