সিরিজ জিতেই এক নম্বরে ভারত
স্কোর
অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ২৯৩/৬ (ফিঞ্চ ১২৪, স্মিথ ৬৩; বুমরা ২/৫২, কুলদীপ ২/৭২)
ভারত ৪৭.৫ ওভারে ২৯৪/৫ (পান্ডিয়া ৭৮, রোহিত ৭১, রাহানে ৭০; কামিন্স ২/৫৪)
ফলঃ ভারত ৫ উইকেটে জিয়ী
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে
৩৭ ওভার শেষে রান পেরিয়ে গেছে ২২০, হাতে আছে আরও ৯ উইকেট। শেষ পর্যন্ত রান কত হওয়া উচিত?
ক্রিকেটীয় জ্ঞানে অন্তত ৩২০ তো বটেই, ৩৫০-৩৬০ও খুব কঠিন কিছু নয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া করতে পারল মাত্র ২৯৪, শেষ পর্যন্ত যেটিই পার্থক্য গড়ে দিল। ইন্দোরে হেসেখেলেই ১৩ বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যটা পেরিয়ে গেছে ভারত। দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়টাও তাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ওয়ানডের এক নম্বর জায়গাটাও এখন ভারতের।
সিরিজে থাকতে হলে ম্যাচটা জিততেই হতো অস্ট্রেলিয়াকে। প্রথম বারের মতো টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্তও একদমই ঠিক মনে হচ্ছিল। ডেভিড ওয়ার্নার ও ও্যারইন ফিঞ্চ মিলে ১৩.৩ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ৭০ রান। তখনও ফিঞ্চ একটু খোলসেই ছিলেন, কিন্তু এরপরেই যেন বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন।
সেটার ফল দাঁড়াল, দুজন মিলে ১৫৪ রানের জুটি গড়লেন ২৪ ওভারেই। শেষ পর্যন্ত ফিঞ্চ যখন আউট হলেন, ১২৫ বলে ১২৪ রান করে ফেলেছেন, হয়ে গেছে ওয়ানডেতে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরি। দলে ফেরাটা এর চেয়ে বেশি স্মরণীয় আর বোধ হয় করে রাখতে পারতেন না।
কিন্তু এর পরেই যেন পথ হারিয়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চের পরেই ৭১ বলে ৬৩ রান করে ফিরে গেলেন স্মিথও। তখনও অস্ট্রেলিয়ার সাত উইকেট বাকি। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল, হেডরা কেউই খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৫৯ রান নিতে পারল অস্ট্রেলিয়া, হারাল ৪ উইকেট। রানটাও ২৯৪ এর বেশি হলো না।
এই রান তাড়া করতে নেমে ভারতের যেরকম শুরু দরকার, ঠিক সেটাই এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও অজিঙ্কা রাহানে। মাত্র ২১.৪ ওভারেই দুজনের ১৩৯ রানের জুটিটাই ম্যাচের ফলটাও লিখে ফেলেছে প্রায়। এরপর ২০৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট ফেলে দিয়ে ফিরে আসার একটা ক্ষীণ আশা জাগিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে সেই আশাও মিলিয়ে গেছে খুব তাড়াতাড়িই। আরও একবার শেষ দিকে নেমে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন পান্ডিয়া, ৭২ বলে ৭৮ রানের ইনিংসটাই নিশ্চিত করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেছে, সিরিজের পরের দুই ম্যাচ এখন স্রেফ আনুষ্ঠানিকতাই।