• এএফসি কাপ
  • " />

     

    মাথা গরম করার মাশুল দিল বাংলাদেশ

    মাথা গরম করার মাশুল দিল বাংলাদেশ    

    শেষ বাশি বাজার সাথে সাথে জাফররা লুটিয়ে পড়লেন মাঠে। নেপালের সঙ্গে জয় দূরে থাক, ড্র করলেই শিরোপার দিকে অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু সাফ অনূর্ধ্ব ১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত হেরে গেল ২-১ গোলে। সেজন্য দায়টা নিজেদের ওপরেই চাপাতে পারে বাংলাদেশ, ম্যাচের অর্ধেকের কাছাকাছি সময় যে দশজন নিয়েই খেলতে হয়েছে! তবে অন্তত দুই বার শট পোস্টে না লাগলে জয় নিয়েও ফিরতে পারত বাংলাদেশ।

    পুরো ম্যাচেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে বেশ কবার। রেফারিকে অন্তত পাঁচ বার উত্তেজনা থামাতে বাঁশি বাজাতে হয়েছে। যুদ্ধংদেহী ফাউলের জন্য নির্ধারিত সময়ের জন্য বাড়তি বেশ কিছু সময়ও অতিরিক্ত যোগ হয়েছে। কিন্তু এই উত্তেজনার মাশুল দিয়েই ৫২ মিনিটে লাল কার্ড দেখেছে বাংলাদেশ।

    সেই লাল কার্ডও নিতান্ত অপ্রয়োজনীয়। নেপালের সীমানায় বল এয়ে থ্রোইন করতে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে কনুই মেরে বসেন বিশ্বজিৎ। রেফারি লাল কার্ড দেখাতে দেরি করেননি। ম্যাচের তখন মাত্র ৫২ মিনিট, খেলা ১-১ গোলে সমতায়। একজন কম নিয়ে শেষ পর্যন্ত নেপালের সঙ্গে আর পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ।

    অথচ ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলের লড়াই হয়েছে সেয়ানে সেয়ানেই। শুরুতে অগোছালো বাংলাদেশের সঙ্গে ২২ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ক্রস থেকে হেড করে বাংলাদেশের রক্ষণ দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নেপাল এগিয়ে যায়।

    গোল শোধ করতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে মিনিট আটেক। দূর থেকে করা ফ্রিকিক পোস্টে লেগে ফিরে এলে ফিরতি বলে হেড করে বল জালে জড়িয়ে দেন আল আমিন। প্রথমার্ধে চেষ্টা করেও দুই দলের কেউ গোল পায়নি।

    দ্বিতীয়ার্ধে দশ জন হওয়ার পরেও বাংলাদেশ ম্যাচে ভালোমতোই ছিল। বল দখলে বেশি ছিল জাফরদেরই, নেপাল অনেকটা ধারার বিপরীতেই এগিয়ে যায়। ফ্রিকিকের সময় পোস্ট ছেড়ে একটু বেশিই বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক। সেতি খেয়াল করে ৪০ গজ দূর থেকে বল সরাসরি জালে জড়িয়ে দেয় নেপাল। শেষ দিকে বাংলাদেশের একটা শট পোস্টে না লাগলে গল্পটা অন্যরকমও হতে পারত। নেপালও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল, কাজে লাগাতে পারেনি।

    টুর্নামেন্টে এখন বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও স্বাগতিক ভুটান- চার দলের পয়েন্টই ছয়। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভুটান, ভারতের নেপাল। গোল ব্যবধানে ভারতই এগিয়ে। বাংলাদেশকে তাই জিতলেই শুধু চলবে না, কামনা করতে হবে ভারত যেন হোঁচটও খায়।