• " />

     

    যেভাবে বদলে গেলেন মুশফিক

    যেভাবে বদলে গেলেন মুশফিক    

    উইকেটে মুশফিকুর রহিম মানেই যেন অন্যরকম এক নির্ভরতা! সেটা ওয়ানডেই হোক আর টেস্ট কিংবা টিটোয়েন্টি। তবে দশককালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এমন আস্থার জায়গাটিতে পৌঁছতে তাঁকে কম কাঠখড় পোড়াতে হয় নি। মুশফিকের রানমেশিন হয়ে ওঠার গল্প শোনাচ্ছেন মহিবুল্লাহ ত্বকি

    সে প্রায় সোয়া যুগ আগের কথা। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) বার্ষিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার দিন। সপ্তম শ্রেণীর কক্ষে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষক প্রশ্ন রাখলেন, "তোমাদের মধ্যে কে প্রথম হবে বলে বিশ্বাস কর?" ফল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পাংশুবর্ণ  মুখগুলো থেকে কোন রা সরলো না। অমন উদ্ভট প্রশ্নের কি আর জবাব মেলে? তবে সেদিন মিলেছিল। পিনপতন নীরবতা ভেঙে ভিড়ের মধ্য থেকে জবাব এসেছিল...আমি! ছোটখাটো গড়নের ছেলেটির বিশ্বাস প্রত্যাশিত সাফল্যই এনে দিয়েছিল। পরবর্তীতে বিকেএসপির প্রথম ছাত্র হিসেবেই সে মাধ্যমিকে পেয়েছিল জিপিএ পাঁচ!


     

    শিরোনামের সাথে প্রথম পরিচ্ছদটুকু মিলিয়ে যারা বালকের পরিচয় আন্দাজ করে ফেলেছেন তাঁরা ভুল করেন নি। মুশফিকুর রহিমের কথাই হচ্ছিল। দশককালের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দাঁড়িয়ে যিনি এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম বড় বিজ্ঞাপন।

     


     

    মাত্র ষোল বছর বয়সে লর্ডসে টেস্ট অভিষেক, ইংল্যান্ডের মাঠে অভিষিক্ত সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার এখনও পর্যন্ত তিনিই। ওই সফরে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে সাসেক্সের বিপক্ষে ৬৩ আর দ্বিতীয়টিতে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ১১৫ রানের দুটো ইনিংস খেলে চমকে দিয়েছিলেন। জিওফ্রে বয়কটের মতো খুঁতখুঁতে ভাষ্যকারের মুখ ফুটিয়ে বের করেছিলেন, “ছোকরার খেলা দেখার মতো!”


     

    তবে ভাগ্যবিধাতা বোধহয় অতো দ্রুতই দু’হাত ভরে দিতে চান নি। লর্ডস টেস্টের দু’ ইনিংসে রান পেলেন যথাক্রমে ১৯ আর ৩। গোড়ালিতে চোট নিয়ে বাকি সিরিজ আর মাঠেই নামার সুযোগ হল না।


     

    পরের বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক। প্রথম দু’ ম্যাচে দলে থাকলেও ব্যাট হাতে নামার সুযোগ মেলে নি। প্রথম অর্ধশতকের দেখা পান ক্যারিয়ারের নবম ম্যাচে, ওই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক আসে ২০০৭ বিশ্বকাপের মাঠে, ঐতিহাসিক ভারতবধের দিন।

     


     

    মুশফিকের ক্যারিয়ারের কঠিনতম সময়ের শুরুটা এরপরই। কাঠিন্যের স্বরূপটা বোধহয় তাঁর নিজেরও ধারণার অতীত ছিল। ম্যাচ আসে, ম্যাচ যায়...মুশির ব্যাট হাসে না। একটা সময় তো দুই অংকের রান করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল! ২০০৭-০৮ মৌসুমে সব ধরণের ক্রিকেট মিলিয়ে মুশফিক টানা ১৬ ইনিংসে রানের খাতায় দুই অংকে পৌছতে পারেন নি। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ৮ রানের, ৫ বার আউট হন কোন রান না করেই।


     

    হুট করে খালেদ মাসুদকে সরিয়ে দলে তাঁর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে অন্তর্ভুক্তিতে চাপা অসন্তোষ ছিলই। এর ওপর ব্যাটে অমন রানখরা আর উইকেটের পিছনে দৃষ্টিকটু ক্যাচ-স্ট্যাম্পিং মিস...নাম কুড়নোর আগেই তিনি হারাতে শুরু করলেন!

     

    মুশফিক বুঝলেন স্রেফ প্রতিভা দিয়ে বাইশ গজের উইকেটে টিকে থাকা যায় না, যাবে না। শুরু করলেন অস্তিত্ব রক্ষার নতুন এক লড়াই। দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা চললো অনুশীলনে ঘাম ঝরানো। নিজেকে ভাঙলেন, গড়লেন, বদলালেন, আবার ভাঙলেন, আবার...উইকেটে যে তাঁকে থিতু হতেই হবে!


     

    ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ওই অর্ধশতকের ঠিক কত সময় আর ম্যাচ পর মুশফিকের ব্যাট আবার গালভরে হেসেছিল জানেন? ২ বছর ৫ মাস এবং ৪১ ম্যাচ পর! ২০০৯ সালের আগস্টে বুলাওয়েতে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ব্যাটে ঝড় তুললেন। দু’ রানের জন্য সে ম্যাচে অভিষেক শতকটা পাওয়া হয় নি। মজার ব্যাপার হল, সেদিন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত শেষবারের মতো ইনিংস উদ্বোধনে তামিমের সঙ্গী হয়েছিলেন তিনি!


     

    নিবিড় অনুশীলনের ফল মিলতে শুরু করলেও সেটা ধারাবাহিক হচ্ছিল না। কালেভদ্রে দুয়েকটা ভালো ইনিংসের ফাঁক গলে তাঁর ব্যাট পুরনো বিশ্বাসঘাতকতা চালিয়ে গেলো। মুশফিক হাল ছাড়লেন না। চেষ্টা চললো অবিরাম।

     


     

    ক্যারিয়ারের প্রথম শতকটা এসেছিল ওই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই, হারারেতে ২০১১ সালে। ততদিনে তাঁর নামের পাশে বড় ইনিংসের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তারপরও খুব নিয়মিত নয়। তবে দমবার পাত্র তিনি নন, ছিলেন না কোনকালেই। অসীম ধৈর্যে ব্যাট-প্যাড-গ্লাভস আর নেট উইকেটে নিজেকে সঁপে দিলেন। সাধনা কাহারে বলে, মিরপুরের ইনডোর-আউটডোরে মুশফিকের অনুশীলন যারা দেখেছেন তাঁদের বোঝার বাকি থাকার কথা নয়।


     

    পরিশ্রম কখনও বিফলে যায় না। মুশফিকের অধ্যবসায়ও যায় নি। এক দিন, দুই দিন... এক ম্যাচ, দু’ ম্যাচ করে তাঁর ব্যাটে আস্থা তৈরি হতে শুরু করল। নিয়মিত রান পাচ্ছেন খুব বেশীদিন নয়। ক্যারিয়ারের মোট ওয়ানডে রানের (৩৬৭১) এক তৃতীয়াংশই (১২২২) তো এসেছে গত সোয়া এক বছরে। এ সময়ে ব্যাট করা ২৬টি ইনিংসে রান করেছেন ৫০.৯১ গড় আর ৯৪.২১ স্ট্রাইক রেটে!

     


     

    এই মুহূর্তে একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের খাতায় তামিম-সাকিবের পরই তাঁর স্থান। টেস্টে দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তিনি। তবে এসব ছাপিয়ে মুশফিকুর রহিম মোটা দাগে এখন দেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক, আস্থাভাজন ব্যাটসম্যান। চাপ আর বিপর্যয়ের মুখ থেকে দলকে টেনে তোলার মুখ্য কাণ্ডারি।


     

    পরিসংখ্যানের খেলা ক্রিকেট। জাতীয়-আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় একজন ক্রিকেটারের অবস্থান বিচারে তাই গাণিতিক হিসেবনিকেশের বিকল্প নেই। এবার তবে ছক এঁকে অংক কষে মুশফিকের সাধনার ফল সন্ধানের চেষ্টা করা যাক।

     

     

    একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পাঁচ রান সংগ্রাহক

     

    ব্যাটসম্যান ম্যাচ/ইনিংস রান সর্বোচ্চ গড় স্ট্রাইক রেট ১০০/৫০
    তামিম ইকবাল ১৪৪/১৪৩ ৪৪৩৭ ১৫৪ ৩১.৪৬ ৭৮.৫৩ ৬/২৯
    সাকিব আল হাসান ১৫০/১৪৩ ৪২১১ ১৩৪* ৩৪.৮০ ৮০.২২ ৬/২৮
    মুশফিকুর রহিম ১৪৯/১৩৮ ৩৬৭১ ১১৭ ৩১.৩৭ ৭৫.০৫ ৩/২২
    মোহাম্মদ আশরাফুল ১৭৫/১৬৮ ৩৪৬৮ ১০৯ ২২.৩৭ ৭০.১১ ৩/২০
    মাহমুদুল্লাহ ১১৯/১০৩ ২৫১৪ ১২৮* ৩৩.৯৭ ৭৩.৬৩ ২/১২

     

     

    কেবল গত পাঁচ বছরের হিসেব বিবেচনায় নিলে প্রতি বছরই মুশফিকের সাথে বাকিদের ব্যবধান বেড়েছে যোজন যোজন। গত দু' বছরে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ওডিআই ব্যাটসম্যানের তালিকাটাই দেখুনঃ

     

     

    ব্যাটসম্যান ম্যাচ/ইনিংস রান সর্বোচ্চ গড় স্ট্রাইক রেট ১০০/৫০
    মুশফিকুর রহিম ৩৩/৩২ ১৪০৮ ১১৭ ৪৬.৯৩ ৯২.৮৭ ২/১১
    মাহমুদুল্লাহ ৩১/২৯ ৮৯৩ ১২৮* ৩৭.২০ ৭৯.৯৪ ২/৪
    তামিম ইকবাল ২৫/২৪ ৮৬৩ ১৩২ ৩৭.৫২ ৭৪.৭৮ ২/৫
    এনামুল হক ২২/২০ ৭০২ ১০৯ ৩৫.১০ ৬৯.০২ ২/৩
    সাকিব আল হাসান ২৪/২২ ৫৭৬ ১০১ ৩০.৩১ ৯৭.১৩ ১/৩

     

     

    বলা বাহুল্য, ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সোনালী সময়টা মুশফিক কাটাতে শুরু করেছেন বছরখানেক হল। এই সময়কালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অবস্থান কেমন? মোট রানসংখ্যা কিংবা রান গড়ে গত সোয়া এক বছরে (১লা জানুয়ারি ২০১৪ থেকে আজ পর্যন্ত) একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বের সব ব্যাটসম্যানের মধ্যে মুশফিক আছেন ১১ নম্বরে। আর শুধু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের আমলে নিলে এই সময়কালে মুশফিকের অবস্থান ৩য়!

     

     

    ওয়ানডেতে গত সোয়া ১ বছরে বিশ্বের সেরা পাঁচ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান

     

    ব্যাটসম্যান ম্যাচ/ইনিংস রান সর্বোচ্চ গড় স্ট্রাইক রেট ১০০/৫০
    অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (শ্রীলংকা) ৪৩/৩৯ ১৪৯৩ ১৩৯* ৫৫.২৯ ৮৮.৪৪ ১/১০
    এবি ডি ভিলিয়ার্স (দ. আফ্রিকা) ২৭/২৫ ১৪৬১ ১৬২* ৭৬.৮৯ ১১৯.৬৫ ৩/১০
    মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ) ২৭/২৬ ১২২২ ১১৭ ৫০.৯১ ৯৪.২১ ২/১০
    মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলংকা) ৩৯/৩৬ ১২১৬ ১১৮ ৩৪.৭৪ ৮৪.৩২ ৩/৭
    রস টেলর (নিউজিল্যান্ড) ৩০/৩০ ১২১৬ ১১২* ৫২.৮৬ ৮০.৬৩ ৪/৬

     

     

    আরও চমকপ্রদ একটা তথ্য দেয়া যাক। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানদের তালিকায় গত ১২ মাসের হিসেবে বাংলাদেশের রানমেশিন কত নম্বরে আছে জানেন? দুই! সদ্য অবসরে যাওয়া সাঙ্গাকারার পরই! আরও পরিষ্কার করে বললে সাঙ্গাকারার অবসরের পর মুশফিকুর রহিমই এই মুহূর্তে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান!

     

    ওয়ানডেতে গত ১ বছরে বিশ্বের সেরা পাঁচ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান

     

    ব্যাটসম্যান ম্যাচ/ইনিংস রান সর্বোচ্চ গড় স্ট্রাইক রেট ১০০/৫০
    কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলংকা) ৩৫/৩৪ ১৭৩৪ ১২৪ ৫৭.৮০ ৯২.০৩ ৭/৮
    মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ) ২০/১৯ ৮৯১ ১০৬ ৪৯.৫০ ৯৫.৪৯ ১/৮

    কুইন্টন ডি কক (দক্ষিণ আফ্রিকা)

    ২৮/২৮ ৮৯০ ১২৮ ৩৪.২৩ ৮৮.৮২ ২/৫
    জস বাটলার (ইংল্যান্ড) ২৮/২৫ ৭০৮ ১২১ ৩৩.৭১ ১০২.৩১ ১/৩
    লুক রঙ্কি (নিউজিল্যান্ড) ২৬/২০ ৬৪৬ ১৭০* ৩৮.০০ ১২১.৮৮

    ১/২

     

     

    শেষ করা যাক উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের উপর খানিক আলো ফেলে। ব্যাটিংয়ের মতো কিপিংয়েও দক্ষতা খুঁজে পেতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘদিন। সহজ সব ক্যাচ আর স্ট্যাম্পিং মিস করে প্রায়ই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছেন। তবে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল পেতে শুরু করেছেন উইকেটের পিছনেও। গ্লাভসবন্দী হাতদুটোয় আস্থা বাড়িয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত।


     

    সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পাওয়া ক্যারিয়ারের ১৫০তম ওডিআই ডিসমিসাল নিয়ে সর্বকালের সেরা ওয়ানডে উইকেটরক্ষকদের তালিকায় মুশফিকের অবস্থান এই মুহূর্তে ১৯তম। তবে কেবল স্ট্যাম্পিং বিবেচনা করলে ৩৭টি শিকার নিয়ে মুশফিক যে কোন সময়ের সেরাদের তালিকায় আছেন ৯ নম্বরে! আর ৩৬টি ডিসমিসাল নিয়ে টিটোয়েন্টি সংস্করণে ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনির সাথে যৌথভাবে মুশফিক রয়েছেন চতুর্থ স্থানে।

     


     

    আবারও যদি পরিণত মুশফিকের সাথে তাঁর সমসাময়িকদের তুলনায় যাই, তবে গত এক বছরের হিসেবে ২৭টি ওডিআই ডিসমিসাল নিয়ে তিনি আছেন ৫ নম্বরে।


     

    ক্রিকেটীয় সাফল্যের হিসেব না হয় পরিসংখ্যানের খাতায় পাওয়া গেলো। কিন্তু আজকের এই পরিণত, প্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী, আস্থাভাজন মুশফিকুর রহিমকে গড়ে তুলতে খরচের খাতায় যাওয়া সীমাহীন সময়, শ্রম আর ঘামের হিসেব মিলবে কোন পরিসংখ্যানে?


     

    উইকেটে সামনে কিংবা পিছনে যতক্ষণই থাকেন, অভিব্যাক্তিতে বিচ্ছুরিত আত্মবিশ্বাসেও যেন প্রতিপক্ষকে খানিকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। চাপের মুখে দাঁড়িয়ে হাঁটু ভেঙে ভাঙেন মিডউইকেটের দূরত্ব। প্রিয় স্লগ সুইপে বল বাতাসে ভাসিয়ে সীমানা ছাড়ান।


     

    কোটি সমর্থকের প্রত্যাশার চাপ কাঁধে তুলে সাতাশ ছুঁই তরুণ দিব্যি খেলে যাচ্ছেন দৃষ্টিনন্দন। একজন মুশফিকুর রহিম ওই চাপের তাপেই নিজেকে তাতিয়ে নেন। হাজার ভোল্টের ঔজ্জ্বল্যে জ্বলে সদলবলে জ্বালেন বিজয়ের আলো। অনুরাগীদের জন্য এনে দেন উৎসবের স্মরণীয় সব উপলক্ষ।


     

    দুর্দিনে ভক্তরা এই সুদিন ভুলে যাবেন না তো? অনাগত দুঃসময়ে আজকের মতোই মুশফিক মুগ্ধতা নিয়ে পাশে থাকা হবে তো? রানমেশিনের কার্যকর দীর্ঘায়ু কিন্তু এসব প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তরের উপরও নির্ভর করছে!