সেই ভাসকে মনে করালেন উসমান
একটু দেরিতে যারা টিভি পর্দায় চোখ রেখেছেন বা স্কোরকার্ড দেখেছেন তাদের চমকেই যাওয়ার কথা। ছয় ওভার পরেই নেই পাঁচ উইকেট। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, সেই পাঁচটিই আবার নিয়েছেন একজন বোলারই। ওয়ানডেতেই উসমান খানের চেয়ে কম বলে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মাত্র তিন জন।
শুরুটা করেছিলেন প্রথম ওভারেই, পঞ্চম বলেই সাদিয়া সামারাবিক্রামাকে বোল্ড করে। ক্রিজে এলেন দীনেশ চান্ডিমাল, প্রথম বলেই ফিরলেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন। হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেলেন উসমান, কিন্তু সেটা আর হলো না। তবে দুই বল পরেই আবার উইকেট উসমানের, এবার বোল্ড হয়ে গেলেন অধিনবায়ক উপুল থারাঙ্গা। দুই বল পরেই এলবিডব্লু হয়ে গেলেন নিরোশান ডিকভেলা, এবারও ৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা তখন কাঁপছে, চোখ রাঙাচ্ছে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড।
পরের দুই ওভারে আর কোনো বিপদ হয়নি শ্রীলঙ্কার, সপ্তম ওভারে গিয়ে আবার পাকিস্তান হেনেছে আঘাত। এবারও সেই উসমানই, তবে এবার তাঁর চেয়ে ব্যাটসম্যানের কৃতিত্বই বেশি। হাফ ভলিটা মারিতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়েছেন মিলিন্দা সিরিবর্ধনা। ২০ রানেই শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে ৫ উইকেট, উসমানের ২১ বলের মধ্যেই! পাঁচ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা, এবার অবশ্য তেমন কিছু হয়নি। শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ১০৩ রানে, উসমান আর কোনো উইকেট পাননি। তবে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে শ্রীলঙ্কা হেরে গেছে ৯ উইকেটে। এই বছর দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতের পর পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হলো পাকিস্তানের কাছে। ওয়ানডে ইতিহাসে তিনটি দলের কাছে একই বছরে ৫-০ ব্যবধানে হারার কীর্তি এটাই প্রথম।
উসমান অবশ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন চামিন্ডা ভাসকেও। ২০০৩ সালে পিটমারিজবার্গের ওই প্রথম ওভারের মতো অবিশ্বাস্য কিছু বোধ হয় আর কখনো দেখবে না ক্রিকেট। ইনিংসের প্রথম তিন বলেই ভাসের বলে ফিরে গিয়েছিলেন হান্নান সরকার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও এহসানুল হক। চতুর্থ বলটা সানোয়ার হোসেন চার মারার পরের বলেই হলেন এলবিডব্লু। তবে পরের ওভারের জন্য ভাসকে অপেক্ষা করতে হয়েছে নিজের তৃতীয় ওভার, আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে ১৬ বল পর্যন্ত। এত কম বলে ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আর কারও নেই।
তবে উসমানের চেয়ে এগিয়ে আছেন আরেকজন। ২০১৩ সালে হল্যান্ডের টিম ফন ডার গুটেন কানাডার বিপক্ষে ২০ বলের ভেতরেই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।