১২৫ রান তাড়া করতে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা পাকিস্তানের
স্কোর- শ্রীলংকা ১২৪/৯ ( গুলাথিলাকা ৫১, আশরাফ ৩/১৬)
পাকিস্তান ১৯.৫ ওভারে ১২৫/৮ ( সরফরাজ ২৮, শাদাব ১৬*, পেরেরা ৩/২৪)
ফলাফল- পাকিস্তান ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অফ দা ম্যাচ- শাদাব খান
শেষ ওভারে দরকার ১২ রান। ক্রিজে তখন নতুন দুই ব্যাটসম্যান। ভিকুম সঞ্জয়া প্রথম বলেই তুলে নিলেন ফাহিম আশরাফের উইকেট। পরের দুই বলে উঠলো ৪ রান, শেষ ৩ বলে দরকার ৮ রান, হাতে ২ উইকেট। পাকিস্তান ড্রেসিংরুমে পরাজয়ের শঙ্কা হাতছানি দিচ্ছে জোরেশোরেই। ওভারের চতুর্থ বলে শাদাব খান সঞ্জয়ার মাথার ওপর দিয়ে সজোরে হাঁকালেন এক বিশাল ছক্কা। এই ছয়েই প্রায় ফসকে যাওয়া ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসল পাকিস্তান। পরের বলে দুই রান দিয়ে শাদাব দারুণ এক জয় এনে দিলেন দলকে। দুই উইকেটের এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল সরফরাজের দল।
১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা কিন্তু দারুণ হয়েছিল পাকিস্তানের। আহমেদ শেহজাদ- ফখর জামানের দুর্দান্ত সূচনায় ৪ ওভারের আগেই ওঠে ৩০ রান। এরপর ৩ বলের মাঝে দুই উইকেট হারালে রানের গতি কমে আসে। শেহজাদ ও শোয়েব মালিকও দ্রুতই ফিরেছেন। ৫৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে পাকিস্তান।
মোহাম্মদ হাফিজ-সরফরাজ আহেমদের জুটি সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন। এই জুটির ৩৯ রান সহজ এক জয়ের আশা জাগাচ্ছিল। কিন্তু ১৪ রানে হাফিজ ও ২৮ রানে সরফরাজ ফিরলে আবারো জয়ের রাস্তা কঠিন হয়ে যায়। দলের লেজকে নিয়ে সেই কঠিন রাস্তাকে সহজ করে তোলেন শাদাব। তার ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়েই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল শ্রীলংকার। ধানুস্কা গুলাথিলাকার ৫১ রান ও সাদিরা সামারাবিক্রমার ৩২ রানের সুবাদে ১ উইকেটে ১০৬ রান তুলে বড় স্কোরের আভাস দিচ্ছিল লংকানরা। কিন্তু তিনটি রান আউট ও ফাহিম আশরাফের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৮ রানেই শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে থিসারা পেরেরার দল। এই হারে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে টানা ১৫ ম্যাচে পরাজয়ের মুখ দেখল শ্রীলংকা। ধবলধোলাই এড়াতে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাঁদের সামনে।