• জিম্বাবুয়ে-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
  • " />

     

    বিশুর ঘূর্ণিতে ভেস্তে গেল টেলরদের প্রতিরোধ

    বিশুর ঘূর্ণিতে ভেস্তে গেল টেলরদের প্রতিরোধ    

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২১৯ ও ৩৭৩

    জিম্বাবুয়ে ১৫৯ ও ৩১৬  (টেলর ৭৩, বিশু ৪/১০৫)

    ফলঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৭ রানে জয়ী


    চেষ্টা করেছিলেন মাসাকাদজা, মিরে। লাভ হয়নি। ব্রেন্ডন টেলর এক প্রান্ত আগলে ছিলেন, লড়ে গেছেন দাঁতে দাঁতে কামড়ে। শেষ পর্যন্ত বিফলে গেছে তাও। ৪৩৪ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করে চতুর্থ দিনেই তাই ভেস্তে গেছে জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ। নতুন জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সিরিজের শুরুটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছে বড় জয় দিয়েই। এ নিয়ে গত তিনটি অ্যাওয়ে সিরিজেই অন্তত একটি করে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, টেস্টে তারা শুনছে দিন বদলের গান। দুই ইনিংস মিলে নয় উইকেট নিয়ে দেবেন্দ্র বিশু হয়েছেন ম্যাচসেরা

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস শেষেই চিত্রটা পরিষ্কার, এই ম্যাচ জিততে হলে জিম্বাবুয়েকে অলৌকিকের বেশি কিছুই করতে হবে। আজ সকালের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল জিম্বাবুয়ের, চার রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ দুই উইকেট তুলে নেয়। তবে হাহাকারটা বেশি থাকার কথা রস্টন চেজেরই, মাত্র পাঁচ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার। তবে টেল এন্ডারদের নিয়ে জিম্বাবুয়ের কফিনে একের পর এক পেরেক ঠিকই ঠুকে গেছেন।

    জিম্বাবুয়ের শুরুটা অবশ্য দারুণ আশা জাগানিয়া ছিল। দুই ওপেনার মিরে ও মাসাকাদজা ফিফটির কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। ওপেনিং জুটিতেই শত রান যখন প্রায় হয়েই গেছে, তখনই লাগল ভজকট। ৫৭ রানে পার্টটাইমার ক্রেইগ ব্রাফেটের বলে শাই হোপকে ক্যাচ দিলেন মাসাকাদজা। ১০৯ রানেই আবার উইকেট। এবার কেমার রোচের বলে ৪৭ রানেই ফিরে গেলেন মিরে।

    এরপর একটু একটু  নিভতে শুরু করল জিম্বাবুয়ের আশার প্রদীপ। ১৪১ রানে ফিরলেন আরভিন, ১৫৫ আউট হলেন শন উইলিয়ামসও। জিম্বাবুয়ের পরাজয় গোধুলী বেলায় তখন অনেকটাই স্পষ্ট। তবে ব্রেন্ডন টেলর অত সহজে হাল ছেড়ে দিলেন না। পঞ্চম উইকেটে সিকান্দার রাজার সঙ্গে প্রতিরোধে জ্বালিয়ে রাখলেন আশার প্রদীপ।

    শেষ পর্যন্ত সেই প্রতিরোধ এসে শেষ হলো বিশুর বলে। বলটা রাজা চাইলে যেখানে খুশি পাঠাতে পারতেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত চেজের কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে এলেন। এরপর শুরু জিম্বাবুয়ের রান আউট দুঃস্বপ্নের। যে বলে কোনো রানই হয় না, তা নিয়ে সরাসরি থ্রোতে আউট হয়ে গেলেন ম্যালকম ওয়ালার। এরপর আরেকটি রান আউটেই জিম্বাবুইয়ের সব আশা শেষ। বলটা লেগে ঠেলে দিয়ে এক রানই নেওয়া উচিত ছিল টেলরের। কিন্তু  দুই রানের জন্য দৌড়াতে গিয়েই হলো সর্বনাশ। ডাওরিচের থ্রো ধরে যখন হোপ স্টাম্প ভেঙে দিয়েছেন, প্রাণপণ এক ডাইভের পরও ক্রিজ থেকে অন্তত মিটারখানেক দূরে টেলর। শেষ উইকেটে জারভিস-পোফুর ৪৯ রানের জুটইটা শুধু বিনোদনই দিয়েছে, হারটা জিম্বাবুয়ের তখন সময়ের ব্যাপার।