• জিম্বাবুয়ে-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
  • " />

     

    হোল্ডার-ডওরিচ হতে পারবেন রাজা-মুর?

    হোল্ডার-ডওরিচ হতে পারবেন রাজা-মুর?    

    বুলাওয়ে টেস্ট, চতুর্থ দিনশেষে 
    জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস ৩২৬ অল-আউট (মাসাকাদজা ১৪৭, রাজা ৮০, রোচ ৩/৪৪) ও ২য় ইনিংস ১৪০/৪(রাজা ৫৮*, মুর ৩৯*, রোচ ২/১৪)
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস ৪৪৮ অল-আউট(পাওয়েল ৯০, হোল্ডার ১১০, ডওরিচ ১০৩, রাজা ৫/৯৯, সিসোরো ৩/১১৩) 
    জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংসে ১৮ রানে এগিয়ে


    সিকান্দার রাজা আর পিটার মুর কি হতে পারবেন জ্যাসন হোল্ডার ও শেন ডওরিচ? পুরো টেস্টজুড়েই অসাধারণ খেলতএ থাকা রাজা কি হয়ে উঠতে পারবেন সত্যিকার অর্থেই রাজা? বুলাওয়ে টেস্টের শেষদিনের অনেকখানি ভাগ্য নির্ভর করছে এসব প্রশ্নের উত্তরেই। চতুর্থ দিনেই টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা কাটিয়েছেন তো জিম্বাবুয়ের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানই, দিনশেষে লিডও এনেছেন ১৮ রানের। অঙ্কটা বড় নয়, তবে প্রথমেই করা প্রশ্নের উত্তর যদি ইতিবাচক হয়, এ অঙ্কটাই কাল হয়ে উঠতে পারে রোমাঞ্চ জোগানোর রসদ। 

     

     

    হোল্ডার-ডওরিচ ৮ম উইকেটে যেমন ছড়িয়েছেন রোমাঞ্চ। কাল ৮০-এর ঘরে অপরাজিত উইন্ডিজ ৮ ও ৯ নম্বর ব্যাটসম্যান দুইজন পেয়েছেন সেঞ্চুরি, ১০৯ বছর পর একই ইনিংসে এমন পজিশনে থাকা দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির কীর্তিও তাই দেখা গেছে প্রথমবার। আগেরদিন যে স্পিন ত্রাস ধরিয়েছিল উইন্ডিজদের বুকে, সেই স্পিনেই কাবু হয়েছেন শেষ পর্যন্ত দুইজন। টেনডাই সিসোরো হোল্ডারের উইকেট নেওয়ার পর উইন্ডিজ লেজটা ছেঁটে দিয়েছেন দ্রুতই। 

    ১২২ রানের লিডের বোঝা মাথায় নিয়ে নামা জিম্বাবুইয়ান ওপেনার দুইজনই কাবু হলেন একই ধরনের বলে। কেমার রোচের ভেতরের দিকে ঢোকা বল, প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ছেড়ে দিয়ে হলেন বোল্ড, অতি আক্রমণাত্মক হয়ে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ সলোমন মিরে। ব্রেন্ডন টেইলর একটু প্রতিরোধের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে টেইলরের জিম্বাবুয়ের শার্ট গায়ে চেপে পুনরায় ফিরে আসার শুরুর সিরিজটা শেষ হলো ওই হতাশার ভেতরেই। গ্যাব্রিয়েলের বলটাও ছিল রোচের মতোই, লেংথ বল, ঢুকছিল ভেতরের দিকে। পার্থক্য হলো, ছেড়ে দেয়া বা শট খেলা নয়, টেইলর চেয়েছিলেন ব্লক করতে। 

    ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়েকে খাদের আরও কিনারে ঠেলে দিলেন দেবেন্দ্র বিশু। নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আঘাত হানলেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বুক চিতিয়ে লড়াই করা ক্রেইগ এরভিন লাইন-লেংথ বুঝে ওঠার আগেই হলেন বোল্ড। ৪৬ রানে ৪ উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের, চা-বিরতির আগে সেই রানটাই ৬৬ পর্যন্ত এগিয়ে নিলেন রাজা ও মুর। 

    চা-বিরতির পর দিলেন নতুন শুরুর ইঙ্গিত। নিয়মিত বোলাররা তো নয়ই, পার্টটাইমার রসটন চেজ বা জারমেইন ব্ল্যাকউডের মতো পারলেন না হোল্ডারের মুখে হাসি ফোটাতে। চেজ অবশ্য নিয়মিত উইকেট নিয়ে নিয়মিত বোলারই হয়ে যাচ্ছেন। রাজা অপরাজিত থাকলেন ৫৮ রানে, মুরের সংগ্রহ ৩৯। পঞ্চম দিনে তাই বুলাওয়ে টেস্টের জন্য অপেক্ষা করে আছে চার ধরনের ফলই। সেই চার ফলের যে কোনও একটি জিম্বাবুয়ের পক্ষে আনতে অবশ্য বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে এই অপরাজিত জুটিকে। অথবা অন্য কোনও জুটিকে। যে জুটি পথ দেখাবেন জিম্বাবুয়েকে, যেমন উইন্ডিজকে দেখিয়েছেন হোল্ডার-ডওরিচ।