এবার বল নিয়ে আপত্তি গার্দিওলার
ম্যাচের অনেক কিছু নিয়েই আপত্তি থাকে কোচদের। কেউ রেফারিকে দুষেন, কেউবা প্রতিপক্ষকে। তবে গতকাল কারাবাও কাপের উল্ভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলার ‘আপত্তি’ ছিল বল নিয়ে! যে ধরনের বল দিয়ে খেলা হয়েছে সেটা কিছুতেই মানতে পারছেন না গার্দিওলা।
গার্দিওলা বলছেন, এই পর্যায়ে এরকম নিম্নমানের বল ব্যবহার করার কোনো যৌক্তিকতা নেই, “এটা কিছুতেই মানা যায় না। কারাবাও কাপের মতো টুর্নামেন্টে এরকম বল মানানসই নয়। এটা খুবই হালকা ছিল, মোটেও ভালো মানের বল ছিল না। এই বলে তো গোল করা মোটামুটি অসম্ভব ব্যাপার, বল সারাক্ষণ এদিক সেদিক যাচ্ছিল। আমি কোনো অজুহাত দিচ্ছি না, ম্যাচ তো আমরা জিতেছি।”
শুধু গার্দিওলা নন, সিটির ফুটবলাররাও নাকি এই বলে খুশি ছিলেন না, “আমার দলের সবাই বলছিল, 'এটা কী'! এই বল হয়ত প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু এটা কারাবাও কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে ব্যবহারের মতো নয়। এর ওজন নেই, কিছুই নেই। এক দুইদিন এটা খারাপ হতে পারে, কিন্তু কয়েক বছর ধরে এরকম চলতে থাকবে সেটা হয় না। সব ফুটবলারই অভিযোগ করেছে এই ব্যাপারে।”
তবে গার্দিওলার সাথে একমত নন উল্ভারহ্যাম্পটন কোচ নুনো সান্তো, “আমি তো দুই বলের মাঝে কোনো তফাৎ পাইনি। আমাদের জন্য এটাই চ্যাম্পিয়নশিপ ও কারাবাও কাপের বল। শুধু রঙের পার্থক্য আছে, এছাড়া কিছুই না।”
বল নিয়ে অভিযোগ থাকলেও কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে গার্দিওলার সিটি। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়। পেনাল্টি শুটআউটে দুটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে দলকে ৪-১ গোলে জয় এনে দেন সিটি কিপার ক্লদিও ব্রাভো। ব্রাভোর প্রশংসায় তাই পঞ্চমুখ গার্দিওলা, “গত মৌসুমটা তাঁর জন্য সহজ ছিল না। সে দারুণ একজন কিপার। সে না থাকলে আমরা পরের রাউন্ডে উঠতাম না। এরকম পরিস্থিতিতে সে দারুণ কিছু সেভ করে দলকে জয় এনে দিয়েছে।”
সিটির জয়ের রাতে দারুণ এক জয় পেয়েছে আর্সেনালও। ৮৪ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল নরউইচ সিটি। ৮৫ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনেন মাত্র ৩০ সেকেন্ড আগে মাঠে নামা ১৮ বছরের তরুণ এডি এনকেতিয়া। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের ৬ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেন এই এনকেতিয়াই। তাঁর জোড়া গোলেই ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে কারাবাও কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আর্সেনাল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আর্সেন ওয়েঙ্গার যখন ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েছেন, এনকেতিয়ারের জন্ম তারও তিন বছর পর!