• নিউজিল্যান্ড-ভারত ওয়ানডে সিরিজ
  • " />

     

    সহজেই নিউজিল্যান্ডের 'টিলা' টপকে গেল ভারত

    সহজেই নিউজিল্যান্ডের 'টিলা' টপকে গেল ভারত    

    নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৩০/৯ (নিকোলস ৪২, গ্র্যান্ডোম ৪১, ল্যাথাম ৩৮, ভুবনেশ্বর ৩/৪৫)

    ভারত ৪৬ ওভারে ২৩২/৪ (ধাওয়ান ৬৮, কার্তিক ৬৪*; মিলনে ১/২০)

    ফলঃ ভারত ৬ উইকেটে জয়ী


    ম্যাচ শুরুর আগেই পিচ-ফিক্সিং নিয়ে তোলপাড়। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ওয়ানডে হবে কি না, তা নিয়েই সংশয়। পুনের দর্শকদের ভাগ্য ভালো, ম্যাচটা পণ্ড হয়নি। নইলে ঘরের মাঠে ভারতের ৬ উইকেটের দাপুটে জয়টা তো দেখা যেত না। নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর এই জয়ে সমতাও ফিরিয়েছে সিরিজে।

    ম্যাচ শুরুর আগেই পিচ কিউরেটর ছদ্মবেশি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এখানে ৩৫০ও খুবই সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, এই পিচ ঠিক ব্যাটিং স্বর্গ নয়। শুরুতে ভারতের দুই পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও জাসপ্রিত বুমরা বেশ সাহায্য পেয়েছেন। ২০ রানে গাপটিলকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ভুবনেশ্বর। ২৫ রানে আরও বড় আঘাত, এবার বুমরার বলে এলবিডব্লু কেন উইলিয়ামসন। পর পর দুই ম্যাচেই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না কিউই অধিনায়ক। ২৭ রানে মুনরোও আউট হয়ে গেলে বিপদেই পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড।

    তখনো ক্রিজে ছিলেন আগের ম্যাচের দুই নায়ক রস টেলর ও টম ল্যাথাম। তবে ৫৮ রানে ফিরে যান টেলর, আরেক পেসার পান্ডিয়ার বলে। এরপর নিকোলস আর ল্যাথাম মিলে একটু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ১১৮ রানে আক্সার প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে যান ল্যাথাম।

    নিকোলস ও ডি গ্র্যান্ডোম এরপর পাল্টা আক্রমণে চেষ্টা করেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর। দুজনের ৮ ওভারের জুটিতে ৪৭ রানও চলে আসে। কিন্তু কেউই ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ভুবনেশ্বর ৪২ রানে বোল্ড করেছেন নিকোলসকে, ৪১ রানে ফিরেছেন গ্র্যান্ডোমও। এরপর স্যাণ্টনার ও সাউদি মিলে নিউজিল্যান্ডকেও একটু ভদ্রস্থ স্কোর এনে দিয়েছেন। কিন্তু ভারতের এই লাইন আপের জন্য ২৩০ রান যে হাঁটাপথের দূরত্ব।

    শুরুতে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে একটু লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর ধাওয়ান আর কোহলির ৫৭ রানের জুটি আবার ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় তাদের। কোহলি ২৯ রান করে ফিরে গেলেও দীনেশ কার্তিককে নিয়ে পরের জুটিতে ম্যাচটা নিজেদের হাতে নিয়ে আসেন ধাওয়ান। চারে নেমে সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন কার্তিক, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রানে। জয়ের জন্য ৪৬ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলেও ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে গেছে তার অনেক আগেই।