লাকমলের ৬-৬-০-৩!
ভারত ১১.৫ ওভারে ১৭/৩ (পূজারা ৮*, রাহানে ০*; লাকমল ৩/০)
স্কোরকার্ডটা দেখে শুরুতেই চমকে যেতে পারেন। সুরঙ্গা লাকমল কোনো রান না দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন, ভুল লেখা হয়নি তো? পড়েছেন ঠিকই, বরং উইকেট আরও বেশি হতে পারত অনায়াসেই। ইডেন গার্ডেনের বৃষ্টিস্নাত প্রথম দিনে ভারতের অবস্থা হতে পারত আরও খারাপ । টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন দুই অঙ্ক না ছুঁয়েই, তিনটি উইকেটই লাকমলের!
নভেম্বরের অসময়ের বৃষ্টি সকালেই খেলা পিছিয়ে দিল এক দফা। শেষ পর্যন্ত খেলা শুরু হতে হতে দুপুর গড়িয়ে গেল। মেঘলা আবহাওয়া, সঙ্গে প্রায় সবুজ ইডেনের উইকেট। টসে জিতে বোলিং না নেওয়ার মতো ভুল করেননি দীনেশ চান্ডিমাল। সেই শুরুটাও কী স্বপ্নের মতোই না হলো! লাকমলের প্রথম বলটা পিচে পড়েই বাড়তি বাউন্সের সঙ্গে সুইংও করল। ডিকভেলার গ্লাভসে জমা পড়ার আগে সেটি চুমু খেল লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে। টেস্টের প্রথম বলেই আউট রাহুল, ভারতের হয়ে যে ‘কীর্তি’ আগে ছিল পাঁচজনের। ওই সময় ধারাভাষ্যকার কক্ষে বসা সুনীল গাভাস্কারেরই ওই অভিজ্ঞতা ছিল তিন বার।
ওই ওভারেই আউট হতে হতেও বেঁচে গেছেন চেতেশ্বর পূজারা। বল সাপের মতো সুইং করছিল দুই দিকে, বাড়তি বাউন্স তো ছিলই। তবে ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত আর কোনো বিপদ হতে দেননি ধাওয়ান-পূজারা। সপ্তম ওভারে আবারও লাকমল, এবার অবশ্য ধাওয়ানের ব্যর্থতাই বেশি। ভুল শট খেলতে গিয়ে অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা স্টাম্পে টেনে আনলেন ধাওয়ান, ভারত হারাল দ্বিতীয় উইকেট।
বিরাট কোহলির চ্যালেঞ্জটা ছিল অনেক দিকেই। বিরুদ্ধ কন্ডিশন, সঙ্গে ইডেনে নিজের ভুলে যাওয়ার রেকর্ড। এর মধ্যেই খেলা বন্ধ হলো এক দফা, আবার শুরুর পর কোহলি সেই চ্যালেঞ্জ আর জয় করতে পারলেন না। ভেতরের দিকে ঢোকা বলে এলবিডব্লু হয়ে গেলেন। ইডেনে কোহলির গড় অবিশ্বাস্যই, ১৩র চেয়ে একটু বেশি! পরের ওভারে অবশ্য আর বৃষ্টি নয়, স্বল্প আলোয় বন্ধ হয়ে গেল খেলা। হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন পূজারা-রাহানে। লাকমল ছয় ওভার টানা মেডেন করে নিলেন তিন উইকেট। এমন চললে অবশ্য ইডেনে সামনের কয়েকটা দিন রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছে বিস্তর।