বোলারদের দিনেও উজ্জ্বল ম্যাথিউস-থিরিমান্নে
প্রথম টেস্ট, কলকাতা, ৩য় দিনশেষে
ভারত ১ম ইনিংস ১৭২ অল-আউট (পুজারা ৫২, সাহা ২৯, শামি ২৪, লাকমাল ৪/২৬, পেরেরা ১/১৯)
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ১৬৫/৪ (ম্যাথিউস ৫২, থিরিমান্নে ৫১, ভুবনেশ্বর ২/৪৯, যাদব ২/৫০)
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংসে ৭ রানে পিছিয়ে
শ্রীলঙ্কান পেসারদের মতো ইডেনে তোপ দাগিয়েছেন ভারতীয় পেসাররাও। তবে ম্যাথিউস-থিরিমান্নের জুটিতে ম্যাচে এগিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে আছে মাত্র ৭ রানে।
শ্রীলঙ্কান পেসারদের বোলিং দেখে নিশ্চয়ই হাত নিশপিশ করছিল ভুবনেশ্বর কুমারদের। ইডেনের সবুজাভ পিচে ভুবনেশ্বর শুরুটাও করলেন দারুণ। দিমুথ করুনারত্নেকে করলেন এলবিডাব্লিউ। এর আগের চার ওভারের প্রতিটিতেই হয়েছে বাউন্ডারি। সাদিরা সামারাবিক্রমার নড়বড়ে টেকনিক তার উইকেটটাও হারাতে বাধ্য করলো, সেই ভুবনেশ্বরের বলেই। ৩৪ রানে ২ উইকেট নেই, ভারত আভাস পাচ্ছিল দারুণ কিছুর।
তবে লাহিরু থিরিমান্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ভাবলেন অন্য কিছু। ৯৯ রানের জুটি গড়লেন, ফিফটি পেলেন দুইজনই। দুজনই খেলেছেন ৯৪টি করে বল, দুজনই মেরেছেন ৮টি করে চার। থিরিমান্নে ৫১ করে উমেশ যাদবের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন কোহলির হাতে। কোহলির প্রতিক্রিয়া ছিল দেখার মতো, যেভাবে বলটা মাটিতে ছুঁড়ে মারলেন, সেটাই বলে দেয়, জুটিটা কতোখানি ভুগিয়েছে তাদের। ম্যাথিউস আরেকদফা স্বস্তি দিয়েছেন কোহলিকে, তিনি কাভারে ক্যাচ দিয়েছেন পুজারার হাতে। থিরিমান্নের মতোই তিনিও আউট হয়েছেন যাদবের বলেই।
শেষবেলায় লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের আরেকবার পরীক্ষা নিয়েছেন ভুবনেশ্বররা, তবে সে সময়টা নিরাপদেই কাটিয়েছেন অধিনায়ক দীনেশ চান্ডিমাল ও নিরোশান ডিকভেলা।
এর আগে চেতেশ্বর পুজারাকে শুধু ফিফটিই করতে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কানরা। পুজারার পাহাড়সম রক্ষণ ভেঙেছে লাহিরু গামাগের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে। করেছেন ৫২, তবে পুজারা এই ইনিংসেই তার জাত চিনিয়েছেন আরেকবার। তিনি ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার সময় ভারতের রান ৭৯, এরপরও ১৭২ পর্যন্ত পৌঁছানোর পেছনে কৃতিত্ব টেইল-এন্ডারদের।
ঋদ্ধিমান সাহার ২৯, রবীন্দ্র জাদেজার ২২ রানের ইনিংসকেও ছাপিয়ে গেছে মোহাম্মদ শামির ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস। ব্যাটিংয়ে বেশি চাপ দিয়েছেন বলেই কিনা কে জানে, বোলিংয়ের সময় শামিকে উঠে যেতে হয়েছে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে।