• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    রিয়াল, রোনালদোর 'সেঞ্চুরি'তে শেষ ষোলতে দল!

    রিয়াল, রোনালদোর 'সেঞ্চুরি'তে শেষ ষোলতে দল!    

    ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ পর্বের ৫ম ম্যাচে আজ অ্যাপোয়েল নিকোসিয়াকে রীতিমত বিধ্বস্ত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সাইপ্রাসের চ্যাম্পিয়নদের তাদেরই মাঠে ০-৬ গোলে হারিয়েই শেষ ষোল-র টিকেট নিশ্চিত করেছে জিনেদিন জিদানের দল। জোড়া গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং করিম বেনজেমা। রিয়ালের অন্য গোল দুটি এসেছে লুকা মদ্রিচ এবং নাচো ফার্নান্দেজের পা থেকে।

     

     

     

    অ্যাপোয়েলের জালে রিয়ালের গোলবন্যার সূচনা করেছিলেন মদ্রিচ। দারিও স্রনাকে (৬৩) টপকে ইউসিএল-এ ক্রোয়েশিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ম্যাচের রেকর্ডটা গোল দিয়েই স্মরণীয় করে রাখলেন এই মিডফিল্ডার (৬৪)। ২৩ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে দানি কারভাহালের ক্রস ক্লিয়ার করেন অ্যাপোয়েল মিডফিল্ডার পটে। সেই ক্লিয়ারেন্স থেকেই দুর্দান্ত এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন মদ্রিচ। অবশ্য এই গোলের জন্য অ্যাপোয়েল গোলরক্ষক নজেট পেরেজকে একটি ধন্যবাদও জানাতে পারেন মদ্রিচ। কারণ তার ভলি স্প্যানিশ এই গোলরক্ষকের হাত ফসকেই জড়ায় অ্যাপোয়েলের জালে। ৩৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেনজেমা। টনি ক্রুসের দারুণ এক থ্রু পাস থেকে গোলরক্ষককে একা পেয়ে ভুল করেননি  ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার।

     

    এর মিনিট দুয়েক পরই ব্যবধান ৩-০ করেন নাচো। ৪১ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে মার্কো আসেন্সিওর কর্ণারে হেড করেন রাফায়েল ভারান। ভারানের হেড অ্যাপয়েল গোলরক্ষক দখলে আনার আগেই লাফিয়ে উঠে দর্শনীয় এক টাচে বল জালে জড়ান নাচো। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে প্রতি আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান রোনালদো। কিন্তু এগিয়ে আসা পেরেজকে বোকা বানিয়ে বেনজেমাকে পাস বাড়ান 'সিআর৭'। ফাঁকা পোস্টে ডানপায়ের আলতো টোকায় ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন বেনজেমা। ৪-০ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধ। নিজেদের চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো 'অ্যাওয়ে' ম্যাচে্র প্রথমার্ধে ৪ গোল করল 'লস ব্লাঙ্কোস'রা।

     

     

    প্রথমার্ধে গোল করার দারুণ এক সু্যোগ পেয়েও বেনজেমাকে পাস বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯ মিনিটেই বহুল প্রত্যাশিত গোলটা পেয়ে যান রোনালদো। এই গোল দিয়ে এক বছরে চ্যাম্পিয়নস লিগে করা নিজের সর্বোচ্চ (১৬) গোলের রেকর্ডটা ভেঙ্গে দিলেন তিনিই (১৭)। সেই সাথে আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো এবং সার্জি রেব্রভের পর মাত্র ৩য় খেলোয়াড় হিসেবে ইউসিএল গ্রুপপর্বের প্রথম পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই গোলের রেকর্ড করলেন রোনালদো। বাঁ-প্রান্ত থেকে মার্সেলোর নিখুঁত ক্রসে হেড করে পেরেজকে পরাস্ত করেন তিনি। এর মিনিট পাঁচেক পরই ম্যাচে দ্বিতীয় গোলটাও পেয়ে যান রোনালদো।

     

     


    ৫৪ মিনিটে অ্যাপয়েল রক্ষণের ভুল বুঝাবুঝিতে ডিবক্সের বাইরে বল পান রোনালদো। বাঁ-পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি তিনি। এই গোল দিয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় (চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ইউয়েফা সুপারকাপ) রিয়ালের হয়ে 'সেঞ্চুরি' পূরণ করলেন 'সিআর৭'। সেই সাথে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিকে (৯৭) টপকে যেকোনো ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটাও নিজের (৯৮) করে নিলেন রোনালদো। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে একমাত্র ক্লাব হিসেবে জয়ের ‘সেঞ্চুরি’ পূরণ করল রিয়াল।

     

     

    'এইচ' গ্রুপের অন্য খেলায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম হটস্পার্স। পিয়ের-এমেইক অবামাইয়াং-এর গোলে ডর্টমুন্ড লিড নিলেও হ্যারি কেন এবং হিউঙ-মিন সনের গোলে জয় নিশ্চিত করেছে মরিসিও পচেত্তিনোর দল। রিয়ালকে ওয়েম্বলিতে ৩-১ গোলে হারিয়ে আগেই শেষ ষোল-র টিকেট নিশ্চিত করেছিল টটেনহাম। আজকের জয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থানটাও নিশ্চিত করলেন কেন-সনরা। ওদিকে গ্রুপে ৩য় হওয়ায় ডর্টমুন্ড খেলবে ইউয়েফা ইউরোপা লিগে।