ইশান্তের সঙ্গে ফিরলেন আশ্বিন-জাদেজাও
দ্বিতীয় টেস্ট, নাগপুর
টস- শ্রীলঙ্কা (ব্যাটিং)
১ম দিনশেষে
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ২০৫ অল-আউট (চান্ডিমাল ৫৭, করুনারত্নে ৫১, আশ্বিন ৪/৬৭, ইশান্ত ৩/৩৭, জাদেজা ৩/৫৬)
ভারত ১ম ইনিংস ১১/১* (রাহুল ৭, গামাগে ১/৪)
ভারত ১৯৪ রানে পিছিয়ে
দুইজন ভারতের অনেক জয়েরই নায়ক। সেই আশ্বিন-জাদেজা প্রথম টেস্টে ছিলেন উইকেটশূন্য। পেসবান্ধব কন্ডিশনে বোলিংয়ের সুযোগও পেয়েছিলেন কমই। কলকাতা থেকে নাগপুরে এলো টেস্ট, তবে উইকেটে সবুজের ছোঁয়া থাকলই। এবার আর বসে থাকেননি ভারতের স্পিনার-জুটি, শ্রীলঙ্কাকে প্রথম দিনে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন তারা। সঙ্গে ছিলেন প্রথম টেস্ট না খেলা পেসার ইশান্ত শর্মাও। দিনের শেষভাগের খেলায় ভারতও হারিয়েছে ১ উইকেট।
আগেই বলা হয়েছিল, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তিন টেস্টেই উইকেট থাকবে পেসবান্ধব। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত। নিজের বিয়ের কারণে দলে নেই আগের ম্যাচে নায়ক ভুবনেশ্বর কুমার। তার জায়গায় দলে এলেন দিল্লী অধিনায়ক ইশান্ত। প্রথম আঘাতটাও হানলেন তিনিই। সাদিরা সামারাবিক্রমার উইকেটে অবশ্য বড় ভাগ আছে স্লিপে দাঁড়ানো পুজারারও। কঠিন ক্যাচটাকে সহজ বানিয়ে ধরেছেন তিনি।
এরপরই খোলসে ঢুকেছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। লাহিরু থিরিমান্নে ও দিমুথ করুনারত্নের খোলসে ছিদ্র হয়েছে 'আশ্বিনী' বাতাসে, চাপে পড়ে স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড থিরিমান্নে। আশ্বিন উইকেট পেলেন, জাদেজাই বা বসে থাকবেন কেন! তবে ম্যাথিউসের উইকেটটা অবশ্য বাঁহাতি স্পিনার পেলেন একটু অন্যভাবে। আম্পায়ার দিয়েছিলেন ক্যাচ, রিভিউয়ে দেখা গেল বল ব্যাটে লাগেনি। তবে এলবিডাব্লিউর রিভিউয়ে হলো আম্পায়ারস কল, শ্রীলঙ্কার সান্ত্বনা বলতে রিভিউটা থাকলো অক্ষত।
অধিনায়ক চান্ডিমালের থিরিমান্নের সঙ্গে ৬২ রানের জুটিতে শ্রীলঙ্কা ফিরে আসলো। তবে চা-বিরতির আগেই ফিরলেন থিরিমান্নে, ইশান্তের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে। বিরতির পর বিদায়ঘন্টা বাজলো নিরোশান ডিকভেলার, জাদেজার বলে ইশান্তকে ক্যাচ দিয়ে।
আশ্বিন-জাদেজা তেমন টার্ন পাননি, তাদের ড্রিফট আর নিয়ন্ত্রণই এনেছে উইকেট। দাশুন শনাকাও বোল্ড হলেন আশ্বিনের এমন বলেই। এরপর হুড়মুড় করেই ভেঙ্গে পড়েছে শ্রীলঙ্কার ইনিংস, ২১ রান তুলতেই গেছে শেষ ৪ উইকেট।
কলকাতার মতো নাগপুরেও দিনের শেষভাগে ব্যাটিং হয়ে উঠেছে আরও কঠিন। গামাগের পেসে আগ বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন লোকেশ রাহুল, নতুন ওপেনিং সঙ্গী মুরালি বিজয়ের সঙ্গটা তাই বেশিক্ষণ উপভোগ করা হয়নি তার। বাকি সময়টা নিরাপদ ছিলেন বিজয়-পুজারা।
তবে আশ্বিন-জাদেজার সাফল্যে হয়তো মুচকি হেসেছেন রঙ্গনা হেরাথও। দ্বিতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার বোলিংয়ের অনেক বড় দায়িত্বও নিতে হবে তাকেই।