দুষিত বাতাসে চান্ডিমালরা যখন 'মুখোশধারী'
লাঞ্চের পরেই দেখা গেল, শ্রীলংকার অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার মুখোশ পরে মাঠে নেমেছেন। কারণটা যে দিল্লির দূষিত বাতাস, তা বলে না দিলেও চলত। ধীরে ধীরে বাড়তে লাগল মাস্ক পড়া ক্রিকেটারদের সংখ্যা। ১২২ তম ওভারের মাঝামাঝি সময় থেকে বেশ করেকবার বোলার আশাংকা গামাগে অসুস্থ বোধ করলেন, বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকল খেলা। কিছুক্ষণ পর মাঠই ছেড়ে গেলেন গামাগে ও সুরাঙ্গা লাকমল। দিল্লীর ‘ধোঁয়াশায়’ খেলতে আপত্তি জানানো নিয়ে ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে চলল ছোটখাটো একটা ‘নাটক’। টেস্ট ইতিহাসেও সম্ভবত এই প্রথম বায়ু দুষণের জন্য খেলা বন্ধ হলো।
বল করতে গিয়ে গতকাল থেকেই খানিকটা সমস্যা হচ্ছিল লংকান বোলারদের। আজ লাঞ্চের পর নিজের ওভারের মাঝপথেই গামাগে অসুস্থ হয়ে পড়লে ছুটে আসেন লংকান ফিজিও। আম্পায়ার নাইজেল লং ও জোয়েল উইলসনের কাছে খেলা বন্ধ রাখার আহবান জানান চান্দিমাল। ক্রিজে থাকা কোহলি অবশ্য খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই ছিলেন। অনেকক্ষণ তর্ক বিতর্কের পর আবারও শুরু হয় খেলা।
দুই ওভার পর আবারও গামাগেকে দেখতে মাঠে আসতে হয় ফিজিওকে। সেই ওভার পূরণ না করেই মাঠের বাইরে চলে যান গামাগে। তিন ওভার পর বেরিয়ে যান লাকমলও। পরের ওভারে আবারও খেলা বন্ধের দাবি জানান চান্দিমাল। দুই দলের কোচ, তৃতীয় আম্পায়ার সবাই নেমে আসেন মাঠে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত করতেই যেন বিরাট কোহলি ইনিংস ঘোষণা করেন।
দিল্লিতে একমাস ধরেই ধোঁয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত, স্কুল-কলেজও ছিল বন্ধ। গত মাসে দিল্লী ম্যারাথনও প্রায় বাতিল হয়ে যেতে বসেছিল। গত বছর এরকম আবহাওয়ার কারণে দুটি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচও বাতিল হয়েছিল। এই টেস্টের আগেও আবহাওয়া নিয়ে শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। তবে এই অবস্থায় সামনের তিন দিনে কতটুকু নির্বিঘ্ন ক্রিকেট হবে, তা নিয়ে সংশয় থাকেই!