দূষণে বমিও করেছিলেন লাকমলরা
দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চের পর অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসসহ অনেক শ্রীলংকান ক্রিকেটারই মুখোশ পড়ে মাঠে নেমেছিলেন। দিল্লীর ‘ধোঁয়াশার’ কারণে লংকান বোলাররা ‘অসুস্থ’ হয়ে মাঠও ছেড়েছেন কিছুক্ষণ পরেই। টেস্ট ইতিহাসে হয়ত প্রথমবারের জন্য বায়ুদূষণের কারণে খেলা বন্ধ হয়েছিল কাল। দিনের খেলা শেষে লংকান কোচ নিক পোথাস বলছেন, দূষণের কারণে ড্রেসিংরুমে ফিরে বমিও করেছিলেন কয়েকজন!
বোলিংয়ের সময় অসুস্থ হয়ে পড়ায় আশাংকা গামাগে ও সুরাঙ্গা লাকমল নিজেদের ওভারের মাঝপথেই ফিজিওর পরামর্শে মাঠ ছাড়েন। পোথাস জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, “দিল্লীর বাতাসে অতিরিক্ত দূষণ ছিল। একটা পর্যায়ে সেটা বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুণ। আমার দলের ক্রিকেটাররা মাঠ ছাড়ার পর বমিও করেছে। লাকমল, গামাগে ছাড়া দনঞ্জয়া ডি সিলভাও বমি করেছে। লাকমল তো অনবরত বমি করেই যাচ্ছিল! ম্যাচ রেফারি ও ডাক্তাররাও সেখানে ছিলেন। অনেকে অক্সিজেনও নিয়েছেন। খেলার সময় এরকম হওয়াটা মোটেও স্বাভাবিক বিষয় নয়। এটা খুবই অস্বাভাবিক একটা পরিস্থিতি।”
লাকমল, গামাগেরা অসুস্থ হওয়ার পরে খেলা বন্ধ করায় আম্পায়ারদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি পোথাস, “আমার মনে হয় ম্যাচ রেফারি ও অন্য কর্মকর্তারা পরিস্থিতি দারুণভাবে সামলেছেন। এটা সবার জন্যই নতুন এক অভিজ্ঞতা, সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের জন্য খানিকটা মায়াই লাগছে। আমরা সবাই একটাই চেষ্টা করি যেন ক্রিকেটাররা সুস্থ থাকেন।”
এদিকে ভারতীয় বোলিং কোচ ভারত অরুণ বলছেন, দলের কোচ রবি শাস্ত্রী খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই ছিলেন, “আমাদের কোচ খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে বলেছিলেন। পুরো ব্যাপারটা আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির ওপর, ক্রিকেটারদের এটা নিয়ে বলা উচিত না। আম্পায়াররা জানেন তাঁরা কী করছেন, যখন বারবার অযথা খেলা বন্ধ হচ্ছিল তখন আমরা চেয়েছিলাম খেলা শুরু হোক। টেস্ট ম্যাচ জেতাই আমাদের লক্ষ্য। প্রতিপক্ষের কী হলো সেটা নিয়ে আমরা ভাববো কেনও? তাঁরা তাঁদের বোলারদের ফিট রাখতে পারেন না এটা তাঁদের ব্যাপার। কোহলি তো দুদিন ধরে ব্যাট করছে, কই তাঁর তো মুখোশ লাগেনি! কন্ডিশন তো দুই দলের জন্যই সমান।”