ভারতকে হতাশ করলেন ধনঞ্জয়া, রোশেন
৩য় টেস্ট, দিল্লী
টস-ভারত (ব্যাটিং)
ভারত ১ম ইনিংস ৫৩৬/৭ ডিক্লে. (কোহলি ২৪৩, বিজয় ১৫৫, রোহিত ৬৫, সান্দাকান ৪/১৬৭) ও ২য় ইনিংস ২৪৬/৫ ডিক্লে. (ধাওয়ান ৬৭, কোহলি ৫০, রোহিত ৫০, গামাগে ১/৪৮, লাকমাল ১/৬০)
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ৩৭৩ অল-আউট (চান্ডিমাল ১৬৪, ম্যাথিউস ১১১; অশ্বিন ৩/৯০, ইশান্ত ৩/৯৮) ও ২য় ইনিংস ২৯৯/৫ (ধনঞ্জয়া ১০৯, রোশেন ৭৪*, ডিকভেলা ৪৪*, জাদেজা ৩/৮১)
ফল : ম্যাচ ড্র, ভারত ১-০তে সিরিজ জয়ী
৮৭ ওভার। তিন সেশন। আশ্বিন-জাদেজার স্পিন। এতো কঠিন কঠিন সব সমীকরণের ভীড়ে শ্রীলঙ্কার সম্বল ৭ উইকেট। দিল্লী শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে বহুদূর ছিল। সেই দূরপথটাই পাড়ি দিল তারা। ব্যাটিং করলো পুরোদিন, উইকেট হারালো মাত্র দুইটি। দিল্লী টেস্ট শেষ পর্যন্ত ড্র করলো দীনেশ চান্ডিমালের দল, যাতে অনেক বড় অবদান ধনঞ্জয়া ডি সিলভার, সঙ্গে ছিলেন রোশেন সিলভা।
দিনের ৬ষ্ঠ ওভারেই ম্যাথিউসকে হারায় শ্রীলঙ্কা। আগেরদিন সন্ধ্যার নায়ক রবীন্দ্র জাদেজারে ড্রিফট করা বলটা নিয়েছিল তীক্ষ্ণ টার্ন, স্লিপে রাহানের কাছে তাতেই ক্যাচ দিয়েছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান। লাঞ্চের আগে পঞ্চম উইকেটটাও প্রায় পেয়ে গিয়েছিল ভারত, তবে চান্ডিমাল বেঁচে গেছেন জাদেজার বলটা নো হওয়াতে। ম্যাথিউসের উইকেটের মতোই ছিল ডেলিভারি, বল আঘাত করেছিল অফস্টাম্পের ওপরের বেইলকে। সেটা বাদ দিলে সেশনজুড়ে বেশ ছন্দেই ছিলেন প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার আরেক সেঞ্চুরিয়ান, সঙ্গে ডি সিলভার নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং তো ছিলই।
পরের সেশনে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন ডি সিলভা। চোট পেয়ে উঠেও যেতে হয়েছে তাকে, শেষ পর্যন্ত আর নামতেই হয়নি তাকে। দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েও ঠিক সুবিধা করতে পারেননি ভারতীয় বোলাররা, এদিন যেন তাদেরকে আড়াল করে দিতেই নেমেছিলেন ডি সিলভারা। তবে এ সেশনেও ভারত আশা জুগিয়েছিল, আশ্বিনের দারুণ বলে চান্ডিমাল আউট হওয়ার পর। ফ্লাইটে প্রলুব্ধ করে সামনে এনেছিলেন চান্ডিমালকে, তবে নাগাল পেতে দেননি বলের। মিড-উইকেটে খেলতে গিয়েও হয়েছেন বোল্ড।
ভারতের শেষ সাফল্য সেটিই। ৫ উইকেট চলে যাওয়ার পর নেমেছিলেন রোশেন সিলভা। আরেকটা উইকেট হলেই ভারতের সামনে থাকতো শুধু শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লেজ। ১০৩টি প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরির মালিকের ফুটওয়ার্ক ও শট নির্বাচনেও অবশ্য সেই লেজের দেখা পেল না ভারত। আশ্বিন-জাদেজার স্পিনের হুমকি তিনি সামলিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়। আশ্বিনকে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন অবশ্য, তবে ফিরতি ক্যাচটা হাতে রাখতে পারেননি তিনি। রোশেনকে সঙ্গ দিয়ে যাওয়া নিরোশান ডিকভেলাও সুযোগ দিয়েছিলেন, স্টাম্পিং করতে পারেননি ঋদ্ধিমান সাহা।
তবে এসব অবশ্য ম্লান করতে পারছেন ডি সিলভার ইনিংসটা। সেঞ্চুরির পর বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার হাততালিও বলছিল, কতো অসাধারণ ছিলেন তিনি আজ। রান-তাড়ায় ভারতের মাটিতে এখন এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস, ১৯৮৭ সালে কলকাতায় ভিভ রিচার্ডস করেছিলেন অপরাজিত ১০৯ রান।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভার এই ইনিংসই তো ভারতকে বঞ্চিত করলো ২-০ ব্যবধানের জয় থেকে।