শেষ মুহূর্তের গোলে ইউনাইটেডের বিদায়
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। অতিরিক্ত সময়েরও পেরিয়ে গেছে ৩ মিনিট। ম্যাচে তখন ১-১ এ সমতা। ব্রিস্টল সিটির ম্যাটি টেইলরের থ্রু বল ডি বক্সের ভেতর খুঁজে নিল কোরি স্মিথকে। বুক দিয়ে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে এনে বা পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়ালেন। পুরো অ্যাস্টন গেট স্টেডিয়াম তখন উল্লাসে ফেটে পড়েছে, ব্রিস্টল কোচ লি জনসনকে ঘিরে ডাগআউটেও আনন্দের জোয়ার। কেনোই বা হবে না এমন উদযাপন, কারাবাও কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টারকে ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে যে সেমিফাইনালে উঠে গেছে ব্রিস্টল সিটি।
১৯৮০ সালের পর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ম্যাচের প্রথমার্ধের নিয়ন্ত্রণ ছিল হোসে মরিনহোর দলের হাতেই। ২১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মার্কাস র্যাশফোর্ডের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। বিরতির ঠিক আগে ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা ইব্রাহিমোভিচকেও হতাশ করে গোলপোস্ট।
সবাইকে অবাক করে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় ব্রিস্টল। ৫১ মিনিটে মারলন প্যাকের বাড়ানো বলে গোল করে জো ব্রায়ান। বেশিক্ষণ অবশ্য এগিয়ে থাকতে পারেনি তারা। ৭ মিনিট পরেই ম্যাচে সমতা আনেন ইব্রা, দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে গোল করেন।
৭৫ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ একটি সুযোগ এসেছিল ইউনাইটেডের সামনে। পল পগবার ক্রসে রোমেলু লুকাকুর হেড বাঁচিয়ে দেন ব্রিস্টল গোলরক্ষক লুক স্টিল। ৮৪ ও ৯১ মিনিটে দুবার লুকাকুকে হতাশ করেই এই স্টিলই।
৯৩ মিনিটে স্মিথের গোলে স্মরণীয় জয় নিশ্চিত করে ব্রিস্টল। শেষ বাঁশি বাজলে মাঠে ঢুকে পড়ে দর্শক, ফুটবলারদের সাথে 'সেলফি' তোলার হিড়িকও পড়ে যায়! গত সাত লিগ কাপে চতুর্থবারের মতো নিচের সারির ক্লাবের কাছে হেরে বিদায় নিল ইউনাইটেড। এই জয়ে ১৯৮৯ সালের পর এই প্রথম কাপের সেমিতে উঠলো ব্রিস্টল।
সেমিতে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ব্রিস্টল।