সংখ্যায় সংখ্যায় এবারের অ্যাশেজ
প্রথম তিন টেস্টে হারের পর জেগেছিল ধবলধোলাইয়ের শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত এই ‘লজ্জা’ থেকে রেহাই পেলেও ৪-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ হেরেছে ইংল্যান্ড। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং; পুরো সিরিজজুড়েই ছিল অস্ট্রেলিয়ানদের আধিপত্য। অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ একাই ভাগ বসিয়েছেন বেশ কিছু রেকর্ডে।
৬৮৭ঃ
এই অ্যাশেজে ৫ ম্যাচে ৭ ইনিংসে স্মিথের রান ৬৮৭। অ্যাশেজে অধিনায়ক হিসেবে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে ৯ ইনিংসে ৮১০ রান করে সবার ওপরে আছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ১৯৮৫ সালে ইংলিশ অধিনায়ক ডেভিড গোয়ার ৯ ইনিংসে করেছিলেন ৭৩২ রান। চতুর্থ স্থানেও আছেন ব্র্যাডম্যান, ১৯৪৬-৪৭ সালের অ্যাশেজে ৮ ইনিংসে তাঁর রান ছিল ৬৮০।
৬৬২ঃ
এবারের সিরিজের পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৯ উইকেটে ৬৬২ রান। এটাই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজে কোনো দলের সর্বোচ্চ রান। ১৯৪৬-৪৭ অ্যাশেজে সিডনিতে ইংল্যান্ড করেছিল ৮ উইকেটে ৬৫৯ রান। তৃতীয় সর্বোচ্চ রানও এসেছে এবারের অ্যাশেজে। শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৬৪৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
৫০০ঃ
পরপর দুই অ্যাশেজ সিরিজেই কোনো ব্যাটসম্যানের ৫০০র বেশির রান করার ঘটনা আছে মাত্র ৮ টি। এবারের সিরিজে ৬৮৭ রান করা স্মিথ ২০১৫ অ্যাশেজেও করেছিলেন ৫০৮ রান। ডন ব্র্যাডম্যান এই কীর্তি করেছেন দুবার, ১৯৩৪ ও ১৯৩৬-৩৭ অ্যাশেজ এবং ১৯৪৬-৪৭ ও ১৪৮ অ্যাশেজে ৫০০ রানের বেশি করেছিলেন। এছাড়াও ১৯৪৬-৪৭ ও ১৯৪৮ সালের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার আর্থার মরিস, ১৯৬২-৬৩ ও ১৯৬৪ অ্যাশেজের ইংল্যান্ডে কেন ব্যারিংটন, ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালের অ্যাশেজে ইংল্যান্ডে জন এডরিচ, ১৯৮৬-৮৭ ও ১৯৮৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার ডিন জোনস, ১৯৯০-৯১ ও ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড বুন পরপর দুই অ্যাশেজে ৫০০ রানের বেশি করেছিলেন।
১০০ঃ
অস্ট্রেলিয়ার ৫ ভেন্যুতে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় সফরকারী দলের ব্যাটসম্যান হলেন অ্যালিস্টার কুক। ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, পার্থ, মেলবোর্ন ও সিডনিতে সেঞ্চুরি আছে তাঁর। ব্রিসবেন ও মেলবোর্নে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের মাঝে সর্বোচ্চ ইনিংস কুকেরই, ব্রিসবেনে ২৩৫*(২০১০) ও ২৪৪ মেলবোর্ন (২০১৭)।
২০ঃ
মিচেল স্টার্ক (২২ উইকেট) , প্যাট কামিন্স(২৩), জস হ্যাজলউড(২১) ও নাথান লায়ন(২১); চার অস্ট্রেলিয়ান বোলারই সিরিজে পেয়েছে ২০ উইকেটের বেশি। এক সিরিজে কোনো দলের চার বোলারের ২০ উইকেট পাওয়ার ঘটনা আগে ঘটেছে মাত্র ২ বার। ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টলি অ্যামব্রোস(২১) , কোর্টনি ওয়ালস(২৬), ইয়ান বিশপ(২৭) ও কেলভিন বেনজামিন(২৩) পেয়েছিলেন ২০ উইকেটের বেশি। ২০০৬-৭ অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা (২১ উইকেট), ব্রেট লি(২০), স্টুয়ার্ট ক্লার্ক(২৬) ও শ্যেন ওয়ার্ন(২৩) পেয়েছিলেন ২০ উইকেটেরও বেশি।
১৫ঃ
অস্ট্রেলিয়াতে খেলা ২০ টেস্টের ১৫ টি পরাজয়ের সাক্ষী হলেন অ্যালিস্টার কুক। সফরকারী কোনো দলের মাঝে এটাই সবচেয়ে বেশি। এর আগে জ্যাক হবস ও শচীন টেন্ডুলকার অস্ট্রেলিয়ার এসে ১৪ টি হারের মুখ দেখেছিলেন।
৮ঃ
পার্থের ওয়াকাতে এবারের টেস্টেও হেরেছে ইংল্যান্ড। এই নিয়ে পার্থে টানা ৮ ম্যাচ হারল ইংলিশরা। একই ভেন্যুতে টানা এত ম্যাচ হারার রেকর্ড আছে আর একটাই। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের মাঝে বুলাওয়েতে টানা ৮ টেস্ট হেরেছে জিম্বাবুয়ে।
৫ঃ
এবারের অ্যাশেজের ৫ টি ম্যাচই গেছে শেষ দিনে। ১৯৯৪-৯৫ অ্যাশেজের পর এই প্রথম ঘটল এমন ঘটনা। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের অ্যাশেজের ৫ ম্যাচের মোট স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১৮ দিন, একটি ম্যাচও গড়ায়নি শেষ দিনে।