• নিদাহাস ট্রফি ২০১৮
  • " />

     

    পেসারদের মানসিক দক্ষতা ও ধারাবাহিকতার দিকে নজর ওয়ালশের

    পেসারদের মানসিক দক্ষতা ও ধারাবাহিকতার দিকে নজর ওয়ালশের    

    শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য নিদাহাস ট্রফিকে সামনে রেখে মিরপুরে শুরু হওয়া বিশেষ প্রস্তুতি ক্যাম্পকে বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ বলছেন ‘বোলারদের মানসিক দিক’ নিয়ে কাজ করার সুযোগ। ধারাবাহিকতার দিকেও নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ক্যাম্পে আছেন ১৪ জন পেসার, সঙ্গে ৫ জন ব্যাটসম্যান। 

    ‘এটা ধারাবাহিকতার দিকে নজর দেওয়ার জন্য। আমরা যেরকম ধারাবাহিকভাবে বোলিং করতে চেয়েছিলাম (আগের সিরিজে), সেভাবে পারিনি, এই ক্যাম্পে সেদিকেই নজর দেওয়া হবে। পেসারদের নিজেদের ভূমিকাটা বুঝতে হবে। ফাস্ট বোলিং কী আর এটার জন্য যে কঠোর পরিশ্রম দরকার, এই ক্যাম্প পেসারদেরকে সেটা জানানোর জন্যও’, মিরপুরে বলেছেন ওয়ালশ। 

    ‘ফাস্ট বোলিং আসলে দুইয়েরই সমন্বয়। আমরা বিষয়টাকে সোজাসাপটা রাখতে চাচ্ছি। ধারাবাহিকতার দিকে নজর দিব, সেই সঙ্গে দক্ষতা বাড়ানোর জন্যও কাজ করব।’ 

     

     

    ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পেসাররা একটু বেশিই চেষ্টা করেছিলেন বলে মনে করছেন ওয়ালশ। কোনও বিশেষ অবস্থায় কী করতে হবে, এটা জানার সঙ্গে সেটা কিভাবে করতে হবে, সেটা জানারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি। এ কারণেই ধারাবাহিকতাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তিনি, ‘যদি তাদের ধারাবাহিকতা থাকে, তাহলে দশবারের মধ্যে আটবারই এটা আপনার কাজে দেবে। আমরা পেসারদের ধারাবাহিক করার চেষ্টা করছি, একই সঙ্গে এটা বাস্তবায়নে নির্ভার রাখারও চেষ্টা করছি। আমরা মূলত বোলিংয়ের মানসিক দিক নিয়েই এই ক্যাম্পে কাজ করছি।’ 

    সামনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে নয়, বরং যে কোনও কন্ডিশনে বোলিং নিয়েই কাজ করা হচ্ছে এখানে, ‘কোন কন্ডিশনে পেসাররা খেলছে, সেটা শেখার জন্যই এই ক্যাম্প, বাস্তবায়নের দিকেই বেশি নজর। বাংলাদেশ দলের কল্যাণের জন্য কিভাবে দক্ষতা বাড়ানো যায়, সেটাই লক্ষ্য। আমরা যেখানেই খেলি না কেন, আমাদের দক্ষতা থাকতে হবে, সেটা কাজে লাগাতে হবে।’ 

    এ ক্যাম্পে আছেন মোহাম্মদ রবিউল, হাসান মাহমুদ, হোসেন আলী, খালেদ আহমেদ, কাজী অনিকদের মতো একেবারে নতুন কিছু পেসার। প্রথম দিনে তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করেছেন ওয়ালশ, ‘আমি ঠিকঠাক ভাবে বেশ কয়েকজনকে প্রথমবারের মতো দেখছি। পরবর্তী কিছু দিন সবার সঙ্গে আলাদা করে নির্দিষ্ট কাজ করা হবে। তাদেরকে অনেক বিষয়ে উন্নতি করতে হবে। যদি কোনও বিষয়ে তারা দূর্বল থাকে, সেটা নিয়ে কাজ করব। কেউ কোনও বিষয়ে আগে থেকেই শক্তিশালি থাকলে, সেটা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। আমি এখানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কল্যাণের জন্যই আছি, বোলারদেরকে ধারাবাহিক বানানোর জন্যই আছি।’