• " />

     

    ফিটনেসের সঙ্গে স্কিল নিয়েও কাজ করছেন মুশফিক

    ফিটনেসের সঙ্গে স্কিল নিয়েও কাজ করছেন মুশফিক    

    মার্চে নিদাহাস ট্রফির পর আফগানিস্তান সিরিজ জুনে। মাঝের সময়টা আপাত দৃষ্টিতে ‘বিরতি’ মনে হলেও ক্রিকেটাররা ঠিক বসে ছিলেন না। প্রিমিয়ার লিগের পর বিসিএল- কদিন পরই আবার শুরু হয়ে যাবে প্রস্তুতি ক্যাম্প। ফুটবল খেলতে গিয়ে চোট পাওয়া মুশফিকুর রহিম বলছেন, যে বিশ্রামটাই পেয়েছেন, সেটার দরকার ছিল। আফগানিস্তান সিরিজে তারা পুরো প্রস্তুত হয়েই যাবেন। মুশফিক কাজ করছেন স্কিল নিয়েও। 

    আজ এক দাতব্য প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুশফিক। সেখানেই বলেছেন, “ফিটনেস শতভাগ এখনো আসেনি। ৯০-৯৫ শতাংশ বলা যায়। গত তিন-চার দিন থেকে আমি রানিং-ও শুরু করে দিয়েছি। স্কিল ট্রেনিং তাড়াতাড়ি শুরু করব। যদিও আমি এখন ফিট স্কিল ট্রেনিং এর জন্য। তবু এক সপ্তাহ যেন ফিটনেসে আরেকটু কাজ করি। গত দুই সপ্তাহ বিশ্রাম ছিল।”

    টানা খেলার পর এই বিশ্রামটা প্রয়োজন ছিল তার, “বিরতি বলতে খুব বড় না। খেয়াল করলে দেখবেন, শেষ আট-নয় মাস টানা ক্রিকেট খেলেছি... বিপিএল, শ্রীলঙ্কা সিরিজ, নিদাহাস ট্রফি...ঘরোয়া লিগ। দুই সপ্তাহ বিশ্রাম অনেক ক্রিকেটারদের সহায়তা করবে। তারপর ফিটনেস ক্যাম্প থাকবে। আমার মনে হয় পুরো প্রস্তুত হয়েই যেতে পারব। খুব ভাল একটি সিরিজ আফগানিস্তানের সঙ্গে। যেখানে শেষ করেছি শুরুটা ওখান থেকে করলে খুব ভাল হবে। খুব ভাল দুইটি সিরিজ সামনে। চেষ্টা করব আফগানিস্তান দিয়ে শুরুটা ভাল করার।”

    নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে হারের পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সব ফরম্যাট খেললেও আফগানিস্তানের সঙ্গে শুধু টি-টোয়েন্টি। অন্য ফরম্যাটের তুলনায় টি-টোয়েন্টি কম খেলা হয় বলে আফগানদের সঙ্গে এটা পেয়েই খুশি তিনি, “এটা তো বিসিবির ব্যাপার। আর যেহেতু বলা হয়েছে টি-টোয়েন্টি কমই খেলি, এটাও আমাদের একটা সুযোগ। টি-টোয়েন্টি কম খেলি বলতে একবার খেলি, পাঁচ-ছয় মাস বিরতি দিয়ে আবার খেলি। ওই সময়টায় দেখা যায় যে ফরম্যাটে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেষ ফাইনালে আমাদের যে আক্ষেপ ছিল। এই জায়গায় যে কয়টা  ম্যাচ খেলব যেন ভালো খেলি।”

    “তারা খুব বিপজ্জনক দল। তাদের ক্রিকেটাররা আইপিএলও খেলছে, কত ভালো খেলছে। আমাদেরও সেই সামর্থ্য আছে। যে বিশ্বাস দরকার ছিল  বড় দলকে হারানোর, সেটা গত সিরিজে অর্জন করতে পেরেছি।”

    আপাতত মুশফিক অবশ্য কাজ করছেন নির্দিষ্ট কিছু জিনিস নিয়ে, “আমরা অনেক সময় ভাবি ডানহাত দিয়ে শুধু লফটেড শটই খেলা যায়। বা ডান হাত দিয়ে বড় শট খেলা যায়। কিন্তু ডানহাত দিয়ে যে নিয়ন্ত্রণ রেখেও যে খেলতে পারি, ডান হাত পাওয়ারের জন্য ব্যবহার না করে প্লেসমেন্টের জন্য করতে পারি। এই দুইটার কম্বিনেশন ঠিক করার চেষ্টা করেছি।”

    “স্যারের (নাজমুল আবেদিন ফাহিম) সঙ্গে কাজ করছিলাম। ডানহাতের কিছু ড্রিল আছে যেগুলো কাজ করলে তাড়াতাড়ি কিছু উন্নতি পাওয়া যায়। আল্লাহর রহমতে আমি খুব খুশি। আগামীতে যদি দরকার হয় তাহলে হয়তবা আরেকটু সময় লাগিয়েও কাজ করব।”