• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে 'বিশ্বকাপের সবচেয়ে বাজে রেফারি'

    চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে 'বিশ্বকাপের সবচেয়ে বাজে রেফারি'    

    মিলোরাদ মাজিচ নামটা হয়তো আপনার খুব একটা চেনা নাও ঠেকতে পারে। এখন পর্যন্ত এই সার্বিয়ান রেফারি উয়েফা সুপার কাপের রিয়াল মাদ্রিদ-সেভিয়া ফাইনাল বাদ দিলে আর কোনো ফাইনালেও রেফারি ছিলেন না। তবে রিয়াল মাদ্রিদ-লিভারপুলের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তাঁর হাতেই থাকবে বাঁশি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো অবশ্য তাতে খুশি নাও হতে পারেন। চার বছর আগে এই রেফারির বাঁশিতেই কপাল পুড়েছিল পর্তুগালের, পরে মাজিচ এক ভোটে হয়েছিলেন বিশ্বকাপের সবচেয়ে বাজে রেফারি।

    চার বছর আগে জার্মানি-পর্তুগাল ম্যাচে মাজিচই ছিলেন রেফারি। জার্মানিকে একটি বিতর্কিত পেনাল্টি দিয়েছিলেন,  মুলারকে ঢুঁশ মারার জন্য পেপেকে দেখিয়েছিলেন লাল কার্ড। পর্তুগাল ম্যাচটা হেরেছিল, পরে তাদের কোচ কার্লোস কুইরোজ মাজিচকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘এই লোকটা রাতে ঘুমায় কী করে? সারাজীবনেও কি সে ঘুমাতে পারবে? আমি তাঁর সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে চাই। কেন আমাদের সাথে এমন করলেন?’

    ইরান-আর্জেন্টিনা ম্যাচেরও রেফারি ছিলেন মাজিচ, পেনাল্টিবঞ্চিত করেছিলেন ইরানকে। সেই ম্যাচে মেসির গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের পর ফুটবল ওয়েবসাইট রেড কার্ড দ্য রেফ বিশ্বকাপের সবচেয়ে বাজে রেফারি নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি করেছিল। সেখানে ১ লাখ ১০ হাজার ভোটের মধ্যে ৮৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন মাজিচ একাই।

    এরপর অবশ্য আরও বেশ কিছু ম্যাচ পরিচালনা করেছেন মাজিচ। দুই বছর আগে ইউরোপা লিগে লিভারপুল-ম্যান ইউনাইটেডের ম্যাচের ভারও ছিল তাঁর ওপর। এরপর উয়েফা কাপে তো ছিলেনই। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচে রেফারি ছিলেন, এর মধ্যে তিনটি গ্রুপ পর্বে। পাঁচ ম্যাচে ১৮টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন মাজিচ, প্রতি ম্যাচে গড়ে ৩.৬টি।