একাডেমি কাপ-এ লেগস্পিনারও খুঁজবে বিসিবি
মোটামুটি শিশু থেকে শুরু করে কিশোর, তরুণ- গোল হয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে, পাশের নেটে চলছে ব্যাটিং- বোলিং। একধরনের পোশাক গায়ে, ঢাকায় এমন দৃশ্য অপরিচিত নয়। রাস্তার পাশে মোটামুটি এক চিলতে জায়গায় এমন দৃশ্যেই আটকে যায় নজর। এমনকি যানবাহনেও দেখা মেলে, অভিভাবকের সঙ্গে বড় এক কিটব্যাগ কাঁধে কাউকে। ক্রিকেট একাডেমির অভাব নেই এই শহরে, এবার এদেরকে নিয়েই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি।
ঢাকার একাডেমিগুলো থেকে ৩২টিকে নিয়ে এই টুর্নামেন্টের ড্র ও ফিক্সচার নির্ধারিত হবে ১২ মে। ১৫-১৮ বছরের কিশোররা খেলতে পারবেন এতে, তবে যে কোনও পর্যায়ে বিসিবির নিবন্ধিত কোনও ক্রিকেটার খেলতে পারবেন না। মূলত ১৫-২০ জন তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারকে খুঁজে বের করাই এই টুর্নামেন্টের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন বিসিবির গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।
“একাডেমিগুলোতে অনুশীলন করার সুযোগ থাকলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই। এর মাধ্যমে একাডেমির ক্রিকেটাররা একটি টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাবে। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট না খেলতে পারলে ট্যালেন্ট দেখানোর সুযোগ থাকে না”, আজ বলেছেন মাহমুদ, “এর মাধ্যমে ছেলেরা নিজেদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পাবে। ওখানে আমাদের নির্বাচকরা থাকবে কিংবা গেম ডেভলপমেন্টের লোক থাকবে, তাদের কাজটা হবে ১৫-২০ জন কিংবা বেশি পরিমাণে তরুণ প্রতিভাকে খুঁজে বের করা।”
ঢাকার একাডেমিগুলোর কতোগুলো মানসম্মত, কতোগুলো থেকে ক্রিকেটার উঠে আসছে- সেসব নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিসিবির নজরও এদিক আছে বলে জানালেন মাহমুদ, “অনুশীলন সুবিধা, লেভেল-১,২ কোচিং করা কোচ আছে কিনা। কয় বছর ধরে একাডেমি চলছে। আমাদের নির্দেশনা পূরণ করেনি এমন কোন একাডেমিকে আমরা এবার সুযোগ দেইনি। আমাদের চেষ্টা থাকবে কোনও একাডেমি যেন ব্যবসা-কেন্দ্র না হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ক্রিকেটার তৈরির কারখানা হতে পারে।”
ভবিষ্যতের পাইপলাইন বাড়াতেই একাডেমিগুলোকে প্রয়োজন বিসিবির। একজন লেগস্পিনারের হাহাকার মেটাতেও এরকম টুর্নামেন্ট সহায়ক হতে পারে বলে আশা মাহমুদের, “সংখ্যা বেশি হলে আমাদের সমস্যা নেই। যত বেশি প্রতিভা আসবে ততোই আমাদের লাভ। আমরা অনেকদিন ধরেই লেগ স্পিনার খুঁজছি। বিশ্বের সবদেশেই ভালো একজন লেগ স্পিনার থাকলেও আমাদের দেশে নেই। সেটাও আমাদের লক্ষ্য। আমাদের ভালো চায়নাম্যান বোলার নেই। আমদের ৮-৯ জন ভালো ব্যাটসম্যান লাগবে। আমরা এসব দিকে কিছুটা নজর রাখবো। তাদের যদি কিছুটা সামর্থ্যও থাকে, তাদের আমরা তুলে আনব।”
এবারের আসরে শুধু ঢাকার একাডেমিগুলো সুযোগ পেলেও এরপরের আসরগুলো থেকে ঢাকার বাইরের একাডেমিগুলোকেও সুযোগ দেওয়ার ইচ্ছা বিসিবির।