• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কপাল পুড়েছে ইরানি ফুটবলারদের

    ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে কপাল পুড়েছে ইরানি ফুটবলারদের    

    ইরানের সঙ্গে পরমানু চুক্তি বাতিলের পর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দুই দেশের বৈরি সম্পর্ক মোড় নিয়েছে নতুন দিকে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা সম্ভব, কিন্তু বিশ্বকাপের মাত্র কয়েকদিন আগে এই সিদ্ধান্ত যে ফুটবলের ওপরও প্রভাব বিস্তার করে বসবে সেটা কে ভেবেছিল?

    ২০১৪ বিশ্বকাপ থেকেই ইরান ফুটবল দলকে বুটের যোগান দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পোর্টস ব্র্যান্ড নাইকি। এবারের বিশ্বকাপেও ইরানি খেলোয়াড়দের বড় একটা অংশের নাইকির বুট পরেই খেলতে নামার কথা ছিল। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞার পর আর বানিজ্যিকভাবে ইরানকে বুটের যোগান দেওয়া সম্ভব নয় নাইকির। এক বিবৃতি দিয়ে সেটা জানিয়ে দিয়েছে তারা, "যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান, নাইকি এই মুহুর্তে ইরানকে বুট সরবারহ করতে পারছে না।" ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ চলার সময়ও একই রকম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ইরানের ওপর, কিন্তু সেবার নাইকি বুট সরবারহ করলেও এবার বদলে গেছে দৃশ্যপট। 

     

     

    বিশ্বকাপের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের সঙ্গেই আলাদা করে চুক্তি থাকে স্পোর্টস ব্র্যান্ডগুলোর। তবে আলাদাভাবে যেসব খেলোয়াড়দের স্বত্ত্ব কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের চুক্তিতে থাকে না, তারা চাইলেই যে কোনো ব্র্যান্ডের বুট পরেই মাঠে নামতে পারেন। ইরানের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই নাইকির বুট পরে অভ্যস্ত। সাধারণত আবহাওয়া, মাঠের অবস্থার কথা মাথায় রেখে খেলোয়াড়েরা বুট বদলান।  বিশ্বকাপের কয়েকদিন আগে নিজেদের পছন্দের বুট না পাওয়ায় তাই খানিকটা ঝামেলাতেই পড়ে গেছে ইরান। এই নিয়ে ক্ষেপেছেন ইরানের পর্তুগিজ কোচ কার্লোস কুইরোজও, "খেলোয়াড়রা তাদের নিজেদের বুটের সঙ্গে অভ্যস্ত, বিশ্বকাপের মতো আসরের মাত্র কয়েকদিন আগেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের একদমই ঠিক হয়নি।" 

    বুট নিয়ে ঝামেলার আগেই অবশ্য জার্সি নিয়েও ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল ইরানকে। বাকি সবদল নাইকি, অ্যাডিডাস, পুমা বা নিউ ব্যালেন্সের মতো পোষাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে তাদের জার্সি চড়ালেও ইরান একেবারেই আলাদা! একমাত্র দল হিসেবে নিজেদের টাকায় জার্সি কিনে বিশ্বকাপ খেলতে যেতে হচ্ছে ইরানকে। জিভোভা নামের এক ইতালিয়ান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি ছিল ইরান ফুটবল দলের। কিন্তু সেই জার্সি নিম্নমানের হওয়ায় চুক্তি বাতিল করতে হয়েছে ইরান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে। বাছাইপর্ব চলাকালীন সময় থেকেই নিজেদের টাকায় জার্সি কিনে পরতে হচ্ছে তাদের। অ্যাডিডাস অবশ্য বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে খানিকটা ছাড় দিয়েছে ইরানকে। ইরানের জন্য ৭০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে অ্যাডিডাস!