• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    ভলগোগ্রাদে পোকার আক্রমণ

    ভলগোগ্রাদে পোকার আক্রমণ    

    ব্রাজিল বিশ্বকাপে একটা ব্যাপার খুব নিয়মিত হয়ে গিয়েছিল- ‘কুলিং ব্রেক’। প্রচন্ড গরমে বিরতি নেওয়া হয়েছিল খেলার মাঝে। রাশিয়া বিশ্বকাপে তেমন সমস্যা নেই। তবে ভলগোগ্রাদে ইংল্যান্ড-তিউনিসিয়া ম্যাচে ফুটবলারদের মুখোমুখি হতে হয়েছে পোকার আক্রমণের। তাদেরকে সামলে রাখতে বেশ কসরত করতে হয়েছে দুই দলকেই। খেলার শুরুর আগে, বিরতিতে নিতে হয়েছে পোকা-দমনকারী স্প্রের সাহায্যও।

     

     

    তবে এই পোকার সমস্যাটা ভলগোগ্রাদে নতুন নয়। এ সময়ের জলবায়ুতে এটা নিয়মিত ঘটনাই। ভলগোগ্রাদ অ্যারেনার পাশেই নদী, যেটা আবাসস্থল এসব পোকার। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দীর্ঘসময় ধরে তাদের নিবারণের চেষ্টা করা হলেও পুরোপুরি সফল হতে পারেননি আয়োজকরা। 

    “আমাদেরকে বলা হয়েছিল, অনেক মাছি থাকবে। তবে ওয়ার্ম-আপে নেমে আসলে আমরা তার চেয়েও বেশি পেয়েছি,” বলেছেন ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। 

    “খেলার শুরুর আগে, হাফটাইমে অনেক স্প্রে নিয়েছি আমরা। চোখে-মুখে ঢুকে যাচ্ছিল পোকা। তবে এটা তো মানিয়ে নিতে হবে, যাই আসুক, মোকাবেলা করতে হবে।” 

    নদীর ওপর বাঁধ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেও পোকা দমনের চেষ্টা করেছে কর্তৃপক্ষ। ভলগ্রোগাদের মিডিয়া অফিস বলছে, এসব ব্যবস্থা করে পোকার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। এবং তাদের মতে, পোকার আক্রমণে নির্ধারিত সূচি রক্ষায় কোনও ঝামেলাও হবে না।

    শুধু খেলোয়াড় নয়, পোকার আক্রমণ সামলাতে হয়েছে সংবাদকর্মীদেরও। বিবিসি স্পোর্টসের নাটালি পিরকস বলছেন, “তারা মুখের ওপর আসে, ঠোঁটে আটকে যায়, নাকের ভেতর ঢুকে যায়, কানে ঢুকে যায়, চুলে হারিয়ে যায়। ঘুমানোর আগে রীতিমতো পোকা পরিষ্কার করতে হয় আমাকে, অদ্ভুত সব জায়গায় মৃত পোকা আবিষ্কার করি।” 

    গ্রুপ-পর্বের পর অবশ্য কোনও ম্যাচ নেই এ ভেন্যুতে। তবে বাকি ম্যাচগুলোতে পোকার আক্রমণ সহনীয় পর্যায়ে থাকলেই হয়!

    তথ্যসূত্র- ইএসপিএন