লুকাকু-হ্যাজার্ডে শক্তিটা দেখাল বেলজিয়াম
সেই অর্থে ফেবারিট নয় নটে, তবে কাগজে কলমে বেলজয়ামের দলটা বাকি সবাইকে টেক্কা দেওয়ার মতো। সেই শক্তির একটা মহড়াই দিল আজ, তিউনিসিয়াকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে পরের পর্বও নিশ্চিত করে ফেলেছে বেলজিয়াম। জোড়া গোল করেছেন রোমেলু লুকাকু ও ডেন হ্যাজার্ড। মিচি বাতশুয়াই করেছেন অন্য গোলটি।
স্কোরলাইন অবশ্য ম্যাচ কেমন হয়েছে, সেটা পুরোটা বোঝাতে পারছে না। বেলজিয়ামের গোল অনায়াসেই চলে যেতে পারত দুই অঙ্কে। শেষের দিকে নেমে বাতশুয়াই একাই করে ফেলতে পারতেন অন্তত পাঁচ গোল। ৬৮ মিনিটে নামার পরও তিউসিনিয়ার পোস্টে একাই ছ্যটি শট ছিল তাঁর। দুইটি ওপেন নেট মিস করেছেন, একবার দুর্দান্ত সেভ করেছেন গোলরক্ষক, আরেক বার লাইন থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ডিফেন্ডার। আরেকবার কাছ থেকেও শট পোস্টে রাখতে পারেননি। আজকের দিনেই গোল্ডেন বুটের দাবিদার হয়ে যেতে পারতেন বাতশুয়াই। অথচ শেষ দিকে যে গোল করেছেন, সেটাই ছিল তাঁর পাওয়া সবচেয়ে কঠিন সুযোগ।
লুকাকু অবশ্য সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছেন ভালোভাবেই। যে দুইটি শট পোশটে ছিল, দুইটি থেকেই গোল এসেছে। সেই দুই গোলও করেছেন জাত স্ট্রাইকারের মতো। এর মধ্যেই চার গোল হয়ে গেছে, গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে ছুঁয়ে ফেলেছেন রোনালদোকে। ১৯৮৬ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনার পর এই প্রথম বিশ্বকাপে কেউ পর পর দুই ম্যাচে জোড়া গোল করলেন। আর বেলজিয়ামের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলও এখন যৌথভাবে তাঁর।
শুরুটা অবশ্য করেছিলেন হ্যাজার্ড। ৬ মিনিটেই বক্সের ঠিক মাথায় তাঁকে ফাউল করলে পেনাল্টি পেয়ে যায় বেলজিয়াম। গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। এরপর রঞ্চমঞ্চে লুকাকু, প্রথমে মেরটেন্সের পাস থেকে এগিয়ে নিয়েছেন দলকে। এরপরেই অবশ্য ম্যাচে ফেরে তিউনিসিয়া, সেট বপিস থেকে হেড করে এগিয়ে দিয়েছেন ডিলান ব্রন। ১৮ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচে তিন গোল।
সেটা ৩০ মিনিটের মধ্যেই ৩-৩ বা ৪-৪ হতে পারত। বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তিউনিসিয়া। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের শেষ দিকে মিউনিয়ারের পাস থেকে লুকাকু গোল করে আবার এগিয়ে দেন। ৫৭ মিনিটেই অবশ্য মার্টিনেজ তুলে নেন তাঁকে, হ্যাটট্রিকটা পাওয়া হয়নি। তার আগেই ৫১ মিনিটে দারুণ একটা গোলে হ্যাজার্ড নিশ্চিত করে ফেলেছেন জয়। শেষ দিকে বাতশুইয়ারের গোলে সেটা ৫-১ করেছে বেলজিয়াম, একদম শেষ দিকে ওয়াহাব খাজরি করেছেন আরেকটি গোল। তবে বেলজিয়ামের শক্তিটা জানান দিয়ে দিয়েছে তার আগেই।
ছবি: এএফপি