• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    শাকা-শাকিরির শাস্তি চায় সার্বিয়া

    শাকা-শাকিরির শাস্তি চায় সার্বিয়া    

    গ্রানিত শাকা ও শেরদার শাকিরির গোল উদযাপন নিয়ে সার্বিয়ার চাপে আছে ফিফা। “আলবেনিয়ান ইগল” উদযাপনের পর এই দুইজনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাবে সার্বিয়ার ফুটবল ফেডারেশন। এই দুইজনের গোলেই এগিয়ে থেকেও ম্যাচটা হেরেছে সার্বিয়া। 

    অবশ্য ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন শাকিরিরা। দুই বুটে থাকে দুই দেশ- সুইজারল্যান্ড ও কসোভোর পতাকা নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন শাকিরি। ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে আলাদা হয়ে নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করেছে কসোভো, তবে তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়নি সার্বিয়া। এই কসোভো নিয়েই দ্বন্দ্ব রয়েছে সার্বিয়া ও আলবেনিয়ার। 

     

     

    শাকিরি জোর দিয়েই বলেছেন, “এটা শুধুই আবেগের ব্যাপার ছিল, আপনারা দেখেছেন। আমি এই গোলটা করতে পেরে খুশি। এর বেশি কিছু নয়। এখন এটা নিয়ে আমাদের কথা বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না।” 

     

    একই মনোভাব শাকারও, “সত্যি বলতে কী, আমার প্রতিপক্ষ নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।” 

    “এটা আমার জনগণের জন্য, যারা আমাকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। যারা আমাকে অবহেলা করেনি, আমার মাতৃভূমিতে, যেখানে আমার বাবা-মার শেকড় আছে। এগুলো ছিল সত্যিকারের আবেগের বহিঃপ্রকাশ।” 


    আরও পড়ুন 
    শেকড়ে ফিরলেন ‘শরণার্থী’ শাকা-শাকিরি


    শাকা-শাকিরির উদযাপনে খুব একটা খুশি হননি তাদের কোচ ভ্লাদিমির পেতকোভিচও। আলবেনিয়ান বংশোদ্ভূত বেশ কিছু ফুটবলারকে তিনি আগে থেকেই বারণ করেছিলেন, এমন অঙ্গভঙ্গি যাতে তারা না করেন। সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটির আগে অবশ্য কোচের কথাই শুনে এসেছিলেন শাকা-শাকিরিরা। 

    তবে এই ব্যাপারটা মেনে নিচ্ছেন তিনি, “ফুটবলের সঙ্গে কখনই রাজনীতি মেশানো উচিৎ নয়। এটা পরিষ্কার, সেই আবেগটা চলে এসেছে, এ ব্যাপারগুলো এমনই হয়।” 

    সার্বিয়া কোচ ম্লাদেন ক্রসটাজিচ অবশ্য আগুনে ঘি ঢালেননি, “আমার কোনও মন্তব্য নেই এ ব্যাপারে। এসব ব্যাপার আমি সামলাই না। আমি খেলার মানুষ, সেটা নিয়েই থাকব।” 

    তবে সার্বিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি জোভান সুরবাটোভিচ অবশ্য এটা মানতে পারছেন না, “আমরা ফিফার কাছে লিখিত জানাব। বেশ কিছু বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করা হয়েছে, দুইটা গোলের সঙ্গে কী হয়েছে, সেটা আমরা সবাই দেখেছি।” 

    ফিফার ডিসিপ্লিনারি কোডের ৫৪ ধারায় ফুটবলারদের কিটে রাজনৈতিক স্লোগান নিষিদ্ধ, “ কেউ সাধারণ জনগণকে প্ররোচিত করলে তাকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হবে, এবং সর্বনিম্ন ৫০০০ হাজার সুইস ফ্র্যাংক জরিমানা করা হবে।”