• " />

     

    ৭ উইকেটে প্রয়োজন ৩ রান, এরপর মিরাকল

    ৭ উইকেটে প্রয়োজন ৩ রান, এরপর মিরাকল    

    মিরাকলের আশা কে না করে! খেলাধুলায় তো আরও বেশি। তবে মিরাকল তো তো আর মুখের কথা নয়, নয় অহরহ ঘটনাও। ১৮৮ রান তাড়া করতে গিয়ে ২ ওভার বাকি থাকতে বিপক্ষ দলের প্রয়োজন ৩ রান, বাকি ৭ উইকেট। এ ম্যাচও জিততে মিরাকল ছাড়া আর কিইবা যথেষ্ট হতে পারে! এ ম্যাচ হারলে সেটাও মিরাকলের চেয়ে কম কী! হাই ওয়েইকোমবে সেই মিরাকলের গ্যাঁড়াকলেই পড়েছে। 

     

     

    ইংল্যান্ডের জাতীয় ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে ঘটেছে এ ঘটনা। গতবার ওয়েইকোমবে বাদ পড়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে, এবার পিটারবরো টাউনের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ ছিল শেষ ৩২-এর। ৩৯তম ওভারে বল দেওয়া হলো পেসার কাইরন জোনসকে। দ্বিতীয় একাদশে নিয়মিতই খেলেন জোনস, বোলিং শুরুর আগে ছুটে ছুটে গেলেন সতীর্থদের কাছে। তার কথাতেই উজ্জীবিত হলো টাউন, এরপর যা ঘটলো, সেটা শুধু স্বপ্নেই সম্ভব! 

    প্রথম তিন বলেই উইকেট, জোনস করলেন হ্যাটট্রিক। তিনটিই কট-বিহাইন্ড। এরপরের বলে এলবিডাব্লিউ, ওভার গেল মেডেন। 

    ওয়েইকোমবে তখনও ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েনি, শেষ ওভারে প্রয়োজন ৩, বাকি ৩ উইকেট। খুব কঠিন কোনও কাজ তো নয়! তার ওপর স্ট্রাইকে ন্যাথান হকস, ৫৭ রান করেছেন তার আগেই। তাকে বল করতে এসেছেন ১৬ বছর বয়সী ড্যানিয়েল মালিক, দূর্বল এক বোলিং লাইন-আপে যিনি ষষ্ঠ বোলার। মালিক তার অফস্পিনে আগের ওভারে দিয়েছেন ৭ রান। এবার প্রথম বলেই হকস করলেন রিভার্স সুইপ, নিলেন সিঙ্গেল। এই সিঙ্গেলটা না নিলেই পারতেন! 

     

    মালিকের পরের বলে ক্যাচ দিলেন অ্যালেক্স মিচেল, মিড-অনে। এরপর এলবিডাব্লিউ। তখনও ২ রান প্রয়োজন, শেষ উইকেট। শেষ ব্যাটসম্যান বেশিই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন বোধহয়, তেঁড়েফুঁড়ে সুইপ করতে গিয়ে হলেন বোল্ড। 

    ১১ বল, ১ রান, ৭ উইকেট। পিটারবরো টাউন তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গেল ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ১৬-তে। 

    সেই ইতিহাসটাও এমনি এমনি হলো না, প্রয়োজন পড়লো মিরাকলের!