• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    দুই গোলে জিতে তৃতীয় বেলজিয়াম

    দুই গোলে জিতে তৃতীয় বেলজিয়াম    

    কোনও এক প্যারালাল ইউনিভার্সে হয়তো এই বেলজিয়ামই ফাইনাল খেলছে ইংল্যান্ডের সঙ্গে।

    সেই ইউনিভার্সে হয়তো এই ম্যাচটার প্রয়োজনই নেই! তবে রাশিয়া বিশ্বকাপে বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ড খেললো তিন নম্বর জায়গাটা নিশ্চিত করার জন্য, এই ম্যাচের কারণেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েও ঠিক ঘরে ফেরা হয়নি দুই দলের। থমাস মুনিয়ের ও এডেন হ্যাজার্ডের গোলে ম্যাচটা জিতে গেছে বেলজিয়াম, রাশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছে তারা। আর ইংল্যান্ড চতুর্থ, দেশের বাইরের বিশ্বকাপে যা তাদের যৌথ সেরা সাফল্য। 

    কার্ডের খড়গে পড়ে মুনিয়ের খেলতে পারেননি সেমিফাইনালে। আজ যেন আফসোসটা বাড়িয়ে দিলেন আরও। চার মিনিটেই নাসের চাডলির ক্রসে পা বাড়িয়ে এগিয়ে দিলেন বেলজিয়ামকে, বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে গোল হজম করলো ইংল্যান্ড। মুনিয়ের বেলজিয়ামের হয়ে এই বিশ্বকাপে গোল করা দশম ফুটবলার, ১৯৮২ সালের ফ্রান্স ও ২০০৬ সালের ইতালির পর ঘটলো এমন। 

    এমন দলীয় পারফরম্যান্সের পরও আলাদা করে একটু নজর ছিল রোমেলু লুকাকুর, হ্যারি কেইনের সঙ্গে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে ছিলেন তিনিও। ডি ব্রুইন তাকে সুযোগও করে দিয়েছিলেন একাধিকবার, সেটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত তাকে তুলেই নিয়েছেন রবার্তো মার্টিনেজ। 

    ছয় গোলের সংখ্যাটা আরেকটু বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিলেন কেইনও। স্টার্লিংয়ের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন, তবে সেটা গেছে বাইরে দিয়েই। পরে লিনগার্ডের ক্রসেও লাগাতে পারেননি পা।  

    প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ গোছানো খেলেছে ইংল্যান্ড, বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছে। এরিক ডায়ার তো প্রায়ই গোল পেয়ে গিয়েছিলেন, রাশফোর্ডের কাছ থেকে পাওয়া বলটা কোর্তোয়ার ওপর দিয়ে চিপ করেছিলেন, তবে লাইন থেকে সেটা ফিরিয়ে দিয়েছেন তারই টটেনহাম সতীর্থ অলডারউইরেল্ড। 

    তবে পুরোটা সময় জুড়েই প্রতি-আক্রমণে বেলজিয়াম ছিল ভয়ঙ্কর। যে মিডফিল্ডে হাপিত্যেশ করে মরেছে ইংল্যান্ড, সেখানেই ছিলেন ডি ব্রুইন। ৮২ মিনিটে তার পাসেই বেলজিয়ামের লিড দ্বিগুণ করেছেন এডেন হ্যাজার্ড। অবশ্য তাকে মার্কিংয়ের দায়িত্বে থাকা ফিল জোনসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। 

    ততক্ষণে অবশ্য দেরিই হয়ে গেছে বেশ। বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্ম তাদের ইতিহাসের সেরা সাফল্যটাই এনে দিল এবার, ব্রোঞ্জ হলেও বিশ্বকাপের একটা মেডেল আছে এখন তাদের। প্যারালাল ইউনিভার্স হলে হয়তো হ্যাজার্ডের হাতে একটা ট্রফিও উঠতো। স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তেন শুধু হ্যারি কেইন। 

    রাশিয়ায় সেটা হয়নি। 



    বেলজিয়াম একাদশ
    কোর্তোয়া, অ্যাল্ডারওয়াইরেল্ড, কোম্পানি, ভের্টোনহেন, মুনিয়ের, টিয়েলেমানস, উইটসেল, চাডলি, হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইন, লুকাকু 

    ইংল্যান্ড একাদশ 
    পিকফোর্ড, জোনস, স্টোনস, ম্যাগুয়ের, ট্রিপিয়ের, লফটাস চিক, ডায়ার, ডেলফ, রোজ, স্টার্লিং, কেইন