বিশ্বকাপ ফাইনালের 'পঞ্চতন্ত্র'
১. দেশমের এলিট ক্লাবের হাতছানি
বিশ্বকাপ জিতলে ফ্রান্সের হবে দ্বিতীয় শিরোপা, আর দিদিয়ের দেশম ঢুকবেন ইতিহাসে। লা ব্লুজদের প্রথম শিরোপা জয়ে তো নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনিই। ১৯৯৮ ফাইনালে ট্রফিটা হাতে নিয়েছিলেন দেশম, অধিনায়ক হিসেবে। লুঝনিকিতে শিরোপা জিতলে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতা মাত্র তৃতীয়জন হবেন তিনি। এর আগে এই কীর্তি আছে শুধু জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও ব্রাজিলের মারিও জাগালোর।
২. ক্রোয়েশিয়ার মিশ্র ইতিহাস
ক্রোয়েশিয়া ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ফ্রান্সকে, যারা এর আগেই জিতেছে সবচেয়ে মূল্যবান পুরষ্কারটা। অবশ্য এ ঘটনা প্রথম নয়, ৬ষ্ঠ দল হিসেবে প্রথমবার ফাইনাল খেলতে এসেই ক্রোয়েশিয়া প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে। এর মধ্যে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স সাবেক চ্যাম্পিয়নকে হারিয়েই জিতেছিল শিরোপা, নিজেদের প্রথম ফাইনালেই।
৩. তবুও ফ্রান্সের অনেকটা পথ বাকি...
রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত ইউরোপেরই জয়গান। ব্রাজিল বা জার্মানিকে ছাড়া এই প্রথম হয়েছে সেমিফাইনাল, যা আবার অল-ইউরোপও ছিল। টিকে আছে এখন দুইটি, ক্রোয়েশিয়ার এটি প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল, ফ্রান্সের তৃতীয়। তবে এখনও ঠিক ইউরোপের পরাশক্তি হয়ে উঠতে পারেনি ফ্রান্স, মেজর টুর্নামেন্টে ফ্রান্সের এটি ৬ষ্ঠ ফাইনাল। ১৪টি ফাইনাল নিয়ে সবার আগে জার্মানি, দুইয়ে থাকা ইতালি খেলেছে ৯টি ফাইনাল।
৪. চ্যাম্পিয়নস লিগ-বিশ্বকাপের ডাবল
লুকা মদ্রিচ, মাতেও কোভাচিচ ও রাফায়েল ভারানকে ডাকছে এমন এক ইতিহাস, যেখানে পা রেখেছেন মাত্র ১০ জন ফুটবলার। ক্রোয়েশিয়া জিতলে একই বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ ও বিশ্বকাপ জেতা ১১ ও ১২তম ফুটবলার হবে মদ্রিচ ও কোভাচিচ। আর ফ্রান্স জিতলে ১১তম ফুটবলার হিসেবে ‘ডাবল’ জিতবেন ভারান।
৫. কুড়ির ধারা
এমন হতেই হবে, সেটা নয়। তবে হয়ে আসছে। ক্রোয়েশিয়া চাইলেই নিতে পারে অনুপ্রেরণা। ১৯৫৮ সালের পর থেকে প্রতি ২০ বছরে নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখেছে বিশ্বকাপ। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স জেতার পর ২০ বছর হয়ে গেল, তাদের সঙ্গেই নতুন চ্যাম্পিয়নের ‘ধারা’টা বজায় রাখতে পারবে ক্রোয়েশিয়া?