• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    ২০ বছর আগেও ফ্রান্সের 'জিরু' ছিলেন 'জিরো'

    ২০ বছর আগেও ফ্রান্সের 'জিরু' ছিলেন 'জিরো'    



    অলিভিয়ের জিরু বিশ্বকাপে ফ্রান্স দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েই ছিলেন। ফ্রান্স স্ট্রাইকার অবশ্য ৫৪৬ মিনিট খেলেও বিশ্বকাপে গোল করতে পারেননি। গোল তো দূরে থাক, একটি শট অন টার্গেটও লেখা হয়নি তার নামে। তাতে অবশ্য ফ্রান্সের তেমন ক্ষতি হয়নি, বিশ্বকাপটা ঠিকই জিতেছে তারা। নাম্বার নাইনের কাছ থেকে কোনো গোলের দরকারই হয়নি লা ব্লুজদের।

    ২০ বছর পর বিশ্বকাপটা এসেছে দিদিয়ের দেশমের হাত ধরেই। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন ফ্রান্সের অধিনায়ক। সেবারও গ্রুপে ডেনমার্কের ওপরে থেকেই নক আউট পর্বে এসেছিল ফ্রান্স। ফাইনালেও উঠেছিল ডিফেন্ডারের গোলেই, ঠিক এবারের মতো। চাইলে আরও অনেকগুলো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে সেই ফ্রান্স আর এই ফ্রান্স দলের। কিন্তু একটা অমিল না চাইতেও হয়ে গেছে, সেটা হয়েছে জিরুর ক্ষেত্রে।

    ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের নয় নম্বর জার্সি পরেছিলেন স্টেফান জিভোশ
    । তার বিশ্বকাপও শেষ হয়েছিল গোলশূন্য থেকেই, কিন্তু পেয়েছিলেন বিশ্বকাপ জয়ের মেডেলই। গ্রুপপর্বে ফ্রান্সের প্রথম দুই ম্যাচে না শুরু থেকে না খেললেও, তৃতীয় ম্যাচ থেকেই দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যান জিভোশও। শেষ ষোল থেকে ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই তিনি শুরুর একাদশে ছিলেন, শুধু গোলটাই পাননি। তখনকার কোচ আইম জ্যাকও জিভোশকে খেলাতেন ট্যাকটিক্যাল কারণে। সেখান থেকে সুবিধা আদায় করতেন জিনেদিন জিদান, ইউরি জোর্কায়েফরা। এবার যেমন গ্রিযমান, এমবাপ্পেরা নির্ভর করলেন জিরুর লিংক আপ প্লে এর ওপর।  

     

     

    জিরু অবশ্য বিশ্বকাপে এসেছিলেন ৭৪ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে, গোলও করেছেন ৩১ টি। সেই তুলনায় জিভোশ ছিলেন নতুন মুখ, সবমিলিয়ে তিনি খেলেছিলেন ১৪ ম্যাচ, আর গোল করেছিলেন মাত্র ১টি। তবুও '৯৮ এর রীতিটা ধরে রেখেই জিরুও থাকলেন গোলশূন্য! 

    দিদিয়ের দেশমও কি টোটকাটা ১৯৯৮ সালেই শিখে রেখেছিলেন? সেটা যাই হোক না, জিরু আর তার কোচ দুইজনই সফল!