• রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    ‘এমবাপ্পে ব্যালন ডি অর না জিতলে বকুনি খাবে’

    ‘এমবাপ্পে ব্যালন ডি অর না জিতলে বকুনি খাবে’    

    কথাটা মজা করাই বলেছেন হয়তো রাফায়েল ভারান। কিলিয়ান এমবাপ্পে এখনই ব্যালন ডি অর জেতাটা একটু বাড়াবাড়িই। তবে ১৯ বছর বয়সেই ফ্রান্সের এই ফরোয়ার্ড বিশ্বকাপে যেমন খেলেছেন, তাতে মেসি-রোনালদোর পর এখনই সবচেয়ে বড় তারকা মানা হচ্ছে। ভারান তাই মজা করে বলেছেন, পরের বছর ব্যালন ডি অর না জিতলে এমবাপ্পে তাদের বকুনি খাবেন।

    এই বিশ্বকাপের মঞ্চটা যেন নিজের করে নিয়েছেন এমবাপ্পে। পেলের পর মাত্র দ্বিতীয় টিন এজার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল, সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার-মঞ্চটা তাঁর জন্যই সাজানো ছিল। তবে ভারান যা বলেছেন, তাতে এমবাপ্পে একটু বেশি চাপ টের পেতেই পারেন।

     

     

    ‘সে যদি পরের বছর ব্যালন ডি অর না জেতে, তাহলে আমরা ওকে বলব এটা স্বাভাবিক নয়, বকুনিও দেব ওকে। হ্যাঁ, এমবাপ্পে আমাদের সবার চেয়ে অন্যরকম প্রতিভা। ওর বুদ্ধিমত্তা অন্যরকম, প্রতিভাটাও ঐশ্বরিক’- লেকিপকে বলেছেন ভারান।

    ‘আমি জীবনে বেশ কিছু অন্যগ্রহের প্রতিভা দেখেছি, কিন্তু এরকম তরুণ ভিনগ্রহের কাউকে এই প্রথম দেখলাম। ম্যাচ শুরুর আগে যখন আমি ট্যাকটিকস নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বলতে যাই, কীভাবে কীভাবে যেন সবই ও আগে থেকে বুঝে ফেলে।’

    ভারান চান, এমবাপ্পে ক্লাবের হয়েও জাতীয় দলের মতো খেলুক, ‘আমি বলব ফ্রান্সে যেভাবে খেলেছে, সেভাবেই যেন খেলে। তাহলে সে হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। সে সেটা জানে, সেটা চালিয়ে যেতে হবে। খুব বেশি চাপ না নিয়েই খেলে যেতে হবে। দলের ওর ভূমিকাটা ঠিকঠাক পালন করে যেতে হবে।’

    ‘আপনি ২০ বছরের কারও কাছে এমনিতে ৩৫ বছরের কারও ভূমিকা আশা করতে পারেন না। কিন্তু কিলিয়ানের মতো যেভাবে দৃশ্যপটে চলে এলে প্রত্যাশা বেশি হবেই।’

    ফ্রেঞ্চ সতীর্থ মাতুইদিও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন এমবাপ্পের, ‘আমরা জানি, আমাদের মাঝে দুর্দান্ত একজন এসে গেছে। আর্জেন্টিনার সঙ্গে যা করেছে সেটা ছিল অন্য কিছু, আমি ওদিন তাকে টুপি খোলা সম্মান জানিয়েছি। এভাবে খেলতে থাকে কয়েক বছরের মধ্যে ও ব্যালন ডি অর জিতবে।’

    ‘ওর আশেপাশে বেশ কিছু যোগ্য লোক আছে। তবে প্রথমে যখন দলে যোগ দিল আমরা শুধু চেয়েছিলাম, ও নিজের ভূমিকাটা পালন করুক।'

    এমবাপ্পে নিজে অবশ্য বলছেন, এত সাফল্যেও তাঁর সবকিছু আগের মতোই থাকবে, ‘ফ্রেঞ্চ মানুষদের এভাবে খুশি করতে পারাটা দারুণ। ছয় মাসে অনেক কিছুই বদলে গেছে, অনেক কিছুই যাবে। কিন্তু আমার জীবনযাপনের খুব বেশি বদলাবে না। দুই বছর পর ইউরো আছে, এরপর কাতার। আমি নিজেকে শুধু একটা কথাই বলি, জয়, জয় এবং জয়।’