• অস্ট্রেলিয়ার আরব আমিরাত সফর
  • " />

     

    হাফিজ-ইমামে পিষ্ট অস্ট্রেলিয়ার ফিরে আসার ইঙ্গিত

    হাফিজ-ইমামে পিষ্ট অস্ট্রেলিয়ার ফিরে আসার ইঙ্গিত    


    দুবাই টেস্ট
    টস- পাকিস্তান (ব্যাটিং) 
    প্রথম দিনশেষে 
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস* ২৫৫/৩ (হাফিজ ১২৬, ইমাম ৭৬, সিডল ১/২৩, লায়ন ১/৬৩) 


    প্রথম বলটার বয়স বাড়ার সঙ্গে রঙটা যেভাবে বদলালো, অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা ছিল তখন তেমনই বিবর্ণ। দুবাইয়ের গরম, আগেভাগেই বুড়িয়ে যাওয়ার বলে, আর সামনে আউট হতে না চাওয়া পাকিস্তানের দুই ওপেনার, অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা যেন হাপিত্যেশ করছিলেন শুধু। দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নামা মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে ইমাম-উল-হকের ওপেনিং জুটিটা দুই সেশন ধরেও ভাঙতে পারলো না অস্ট্রেলিয়া। সেই পুরোনো বলে হাল ছাড়লেন না ন্যাথান লায়ন ও পিটার সিডল। আঁটসাঁট লাইন-লেংথে তারা পেলেন পুরস্কার, ক্যারিয়ারে দশম সেঞ্চুরি করার পর হাফিজ শিকার হলেন তার মতোই দুই বছর পর টেস্টে ফেরা পিটার সিডলের। ইমাম ক্যারিয়ারসর্বোচ্চ ইনিংস খেলে লায়নের ভাগে, আর শেষে এসে আজহার আলিকে ভুল করাতে বাধ্য করলেন জন হল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে পিষ্ট অস্ট্রেলিয়া দিল ফিরে আসার ইঙ্গিত দিল, আর দুবাই টেস্টে গেল দারুণ একটা দিনই।

    প্রথম দুই সেশনে নিশ্চিতভাবেই ছিল পাকিস্তানী ওপেনারদের আধিপত্য। হাফিজ অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের লাইন-লেংথে থিতু হতে দেননি, প্রয়োজন পড়লে করেছেন আক্রমণও। মাঠের পুরোটা জুড়েই খেলেছেন, রান-রেট বাড়িয়েছেন, টিম পেইনকে বাধ্য করেছেন আগেভাগেই স্পিন আনতে। শেষ মুহুর্তে স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল হাফিজকে, তার ওপর রাখা টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতিদান দিলেন প্রথম ইনিংসেই। সিডল পা তাক করে বলকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন লাইন ধরে, সেরকমই এক বলে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ২০৫ রানের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে তাতেই, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাকিস্তানের। 

    ইমাম দৃঢ় ছিলেন, আক্রমণাত্মকও ছিলেন ভালই, মেরেছেন দুইটি ছয়। তবে লায়নের ধৈর্য্যের কাছে পরাজিত তিনি, যে বলে কাট করতে গিয়েছিলেন, সেটায় কাট করার মতো জায়গাটা ছিল না। পেইন ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। দুই উইকেটের পর অস্ট্রেলিয়া চেপে ধরেছিল পাকিস্তানকে। 

    তার আগে থেকেই সিডল ছিলেন দারুণ। সিম-সুইংয়ের দেখা সেভাবে পাননি, লেট-সুইংয়ে ভর করে সিডল ধরে রেখেছিলেন লাইন-লেংথ। তার বিরুদ্ধে রান করতে কষ্ট করতে হয়েছে হাফিজদের। দুই উইকেটের পর পাকিস্তানের রান-রেটে ভাটা পড়েছে, প্রথম দুই সেশনে ৩.২৬ হারে রান তোলা পাকিস্তান শেষ সেশনে ২৯ ওভারে তুলেছে ৫৬ রান তুলতে পেরেছে ১.৯৩ হারে। 

    ন্যাথান লায়নকে ভালভাবেই খেলছিলেন আজহার, সুইপ করে দৃঢ়তার পরিচয়ই দিচ্ছিলেন। তবে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ভুলটা করেছেন আজহার। বাঁহাতি স্পিনার হল্যান্ডের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে তুলে মারতে গিয়ে মিসহিটে মিড-অফে ধরা পড়েছেন। পাকিস্তান আর ঝুঁকি নেয়নি, পাঠিয়েছে নাইটওয়াচম্যান মোহাম্মদ আব্বাসকে। 

    প্রথম দুই সেশন পাকিস্তানের হলেও তৃতীয় সেশনে তিন উইকেট উজ্জীবিত করছে অস্ট্রেলিয়াকে। পাকিস্তানকে আরও বড় সংগ্রহ থেকে বিরত রাখতে দ্বিতীয় দিন সকালেও অস্ট্রেলিয়ানদের প্রয়োজন হবে সেটাই।