• অস্ট্রেলিয়ার আরব আমিরাত সফর
  • " />

     

    ব্র্যাডম্যানের গড় ১০০ হয়নি তার জন্যই!

    ব্র্যাডম্যানের গড় ১০০ হয়নি তার জন্যই!    

     

    ক্রিকেট ইতিহাসের ৯৯.৯৪ সংখ্যাটি যেন একটু অন্যরকম। ডন ব্র্যাডম্যানের ঐতিহাসিক এই টেস্ট গড় নিয়ে আজও আলোচনা হয়। নিজের শেষ ইনিংসে শূন্য রানে না ফিরলে হয়ত ব্র্যাডম্যানের গড় হতে পারত ১০০! ব্র্যাডম্যানকে সেই ইনিংসে শূন্য রানে আউট করেছিলে ইংলিশ স্পিনার এরিক হোলিস। তবে হোলিস নয়, ব্র্যাডম্যানের গড় যে ১০০ হয়নি, এজন্য নিজেকে দোষী মনে করেন ব্র্যাডম্যানের সতীর্থ নেইল হার্ভি!

    আজ ৯০এ পা রাখলেন ব্র্যাডম্যানের সতীর্থ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান হার্ভি। কিন্তু নিজেকে ব্র্যাডম্যানের সেই ঘটনার জন্য দায়ী করছেন কেন? বিদায়ী টেস্টের আগের টেস্টে ব্র্যাডম্যানের সাথে ব্যাটিং করেছিলেন হার্ভিও। সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্র্যাডম্যান অপরাজিত ছিলেন ১৭৩ রানে। অন্য প্রান্তে ছিলেন হার্ভি। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার তখন ৪ রান। স্ট্রাইকে থাকা হার্ভি চার মেরেই জেতালেন অস্ট্রেলিয়াকে।

    এই চার মারা নিয়েই যত আফসোস হার্ভির। কারণ পরের টেস্টে ১০০ গড় করতে ব্র্যাডম্যানের দরকার ছিল ৪ রানই। সিডনি হেরাল্ড মর্নিংকে হার্ভি বলছেন, তিনি যদি নিজে চার না মেরে ব্র্যাডম্যানকে স্ট্রাইক দিতেন, তাহলে সেই ১০০ গড়টা হয়েই যেত, ‘লিডসের সেই চার আমাকে খুব পীড়া দেয়। ব্র্যাডম্যানের গড় ১০০ হয়নি, এটা সম্পূর্ণ আমার দোষ! আমি যদি নিজে চার না মেরে তাকে রান করতে দিতাম, তাহলে তাকে আফসোস নিয়ে অবসর নিতে হতো না।’

    তখনকার দিনে ছিল না কোনো পরিসংখ্যানের হিসাব। আধুনিক যুগ হলে ব্র্যাডম্যানের রেকর্ডের কথা ভেবেই ব্যাটিং করতেন, জানালেন হার্ভি, ‘আমি নিজের ঘাড়ে দোষ নিতে রাজি। কিন্তু আমি জানতাম না পরের টেস্টে তিনি শূন্য রানে আউট হলে এরকম কিছু হবে। কেউ জানত না চার রান হলেই তার গড় ১০০ হবে। তখনকার দিনে পরিসংখ্যান তেমন বলা হতো না, টেলিভিশনও ছিল না, সংবাদমাধ্যমও এসব বলত না। এসব থাকলে হয়ত ইতিহাসটা অন্যরকমভাবে লেখা হতো।’