• অস্ট্রেলিয়ার আরব আমিরাত সফর
  • " />

     

    হারিসের প্রথম সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের ৪৮২

    হারিসের প্রথম সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের ৪৮২    

    দুবাই টেস্ট
    টস- পাকিস্তান (ব্যাটিং) 
    দ্বিতীয় দিনশেষে 
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ৪৮২ (হাফিজ ১২৬, হারিস ১১০, শফিক ৮০, সিডল ৩/৫৬, লায়ন ২/১১৪) 
    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস* ৩০/০ 


    হারিস সোহেলের প্রথম সেঞ্চুরি, আসাদ শফিকের ৮০ রানের ইনিংসে দুবাইয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৮২ রান তুলেছে পাকিস্তান। ৫০০ ছাড়ানো স্কোরটা দৃষ্টিসীমায় ছিল পাকিস্তানের, দুই রান-আউটে স্কোরটা আরও বড় করতে পারেনি তারা। ১৬২ ওভারের বেশি ফিল্ডিংয়ের পরও ১৩ ওভার ব্যাটিং করে দিনশেষে অবিচ্ছিন্ন আছে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি। ৪৫২ রানের লিডটা এখনও পাহাড়সম, সেটা টপকাতে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের করতে হবে দারুণ কিছু। 

    আগেরদিন শেষ সেশনে ৩ উইকেট নেওয়া উজ্জীবিত অস্ট্রেলিয়া এদিন শুরুতেই ফিরিয়েছে নাইটওয়াচম্যান মোহাম্মদ আব্বাসকে। পিটার সিডলের ভেতরের দিকে ঢোকা বল তার রক্ষণ ভেদ করে ঢুকে পড়েছে। তবে প্রথম সেশনে ওই একটিই সাফল্য অস্ট্রেলিয়ার, যে সাফল্যের সুবাতাস মিলিয়ে গেছে হারিস-আসাদ শফিকের জুটিতে। দুজন ঠিকঠিক ১৫০ রান তুলেছেন। ২০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন শফিক, যে ব্রেকথ্রু অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিয়েছেন মারনাস ল্যাবুশেন। 

    পারফেক্ট লেগস্পিনিং ডেলিভারিতে এজড হয়েছেন শফিক। পাকিস্তানকে এরপর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বাকি কাজটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন বাবর আজম ও সরফরাজ আহমেদ, দুজনই হয়েছেন রান-আউট। এই দুজনের মাঝে ফিরেছেন হারিস, আগেরদিন ইমাম-উল-হকের মতো ন্যাথান লায়নকে কম জায়গা থেকে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে ভাল দিন কাটানো অধিনায়ক টিম পেইনের হাতে। 

    ৬ষ্ঠ টেস্টে এসে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন হারিস, টেস্ট দলে জায়গা পাকা করার ইঙ্গিতটাও দিলেন। স্পিনে পায়ের ব্যবহার ছিল দারুণ তার, সঙ্গে পেসে ড্রাইভও ছিল চমৎকার। বোলারস ব্যাকড্রাইভে দুটি ছয় মেরেছেন, রান করেছেন চারপাশ জুড়েই। 

    সরফরাজের উইকেটের পর সিডল-স্টার্ক মিলে শেষ করেছেন পাকিস্তানের ইনিংস। প্রত্যাবর্তনের টেস্টের প্রথম ইনিংসটা দারুণ গেছে সিডলের, আগের দিনের মতোই লাইন-লেংথে ছিলেন ধারাবাহিক। 

    লায়নের সঙ্গে হল্যান্ডের বাঁহাতি অর্থোডক্স বল করেছেন অনেক ওভার, তবে ল্যাবুশেনের বোলিং হয়তো অস্ট্রেলিয়াকে ভাবিয়েছে স্পেশালিস্ট লেগস্পিনার না খেলানোর ব্যাপারে। একই সঙ্গে তার লেগস্পিন বাড়তি আশা উৎসাহ দিয়েছিল হয়তো পাকিস্তানের ইয়াসির শাহকেও। 

    দুবাইয়ের উইকেটে টার্নের দেখা মিলতে শুরু করেছে, উসমান খাওয়াজা ও অ্যারন ফিঞ্চের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ইয়াসিরকে সামলানোটায়। ৬ষ্ঠ ওভারেই তাকে এনেছেন সরফরাজ। ফিঞ্চের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর দারুণ আবেদনও এসেছিল দ্বিতীয় বলেই। উইকেটে আম্পায়ারস কল ছিল সেটা, পাকিস্তান অবশ্য রিভিউও নেয়নি। 

    বাকি সময়টা নিরাপদে কাটিয়েছেন খাওয়াজা-ফিঞ্চ। তবে তৃতীয় দিনটা কতোখানি নিরাপদে পার করতে পারবেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা? এই টেস্টের ভাগ্য নির্ভর করছে সে প্রশ্নের উত্তরের ওপরই। নিজের প্রথম ইনিংসে এর আগে তিনবার ৪০০ পেরিয়ে এ মাঠে একবারও হারেনি পাকিস্তান।