• আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    ম্যাচ পাতানো হবে ফৌজদারি অপরাধ

    ম্যাচ পাতানো হবে ফৌজদারি অপরাধ    

     

    এতদিন ম্যাচ পাতানোর দায়ে শুধু ক্রিকেট বোর্ডের দেওয়া শাস্তিই পেতে হতো। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতসহ পুরো উপমহাদেশে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনা বেড়েছে আশংকাজনক হারে। আর এই কারণেই ভারত ও শ্রীলংকাতে ম্যাচ পাতানোর ঘটনাকে শুধু ক্রিকেট বোর্ডের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে না। ম্যাচ পাতালে বোর্ডের শাস্তির পাশাপাশি ফৌজদারি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হবে, এরকম আইন চালু হতে পারে ভারত ও শ্রীলংকাতে।

    কিছুদিন আগে আল জাজিরার এক গোপন ভিডিও ফুটেজে জুয়াড়িরা বলেছিলেন, ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে ম্যাচ গড়পেটার চেষ্টা করেছিলেন তারা। ওই ফুটেজে এটাও জানা যায়, আসন্ন শ্রীলংকা-ইংল্যান্ড সিরিজে গল টেস্টের পিচও জুয়াড়িদের কথাতেই বানানো হতে পারে। শ্রীলংকার ঘরোয়া ক্রিকেটেও কিছুদিন আগে স্পট ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে লংকান বোর্ড ও ক্লাবগুলোর মাঝে কম কথা হয়নি।

     দা টেলিগ্রাফ বলছে, আইসিসি এবার নিজেই ভারত ও শ্রীলংকা সরকারকে চাপ দেবে নতুন আইন করার জন্য। ম্যাচ পাতানোর ঘটনায় দোষীদের ধরতে আইসিসি একা হিমশিম খাচ্ছে, এজন্যই নাকি তারা সরকারকেও সাথে নিতে চাইছে। এই ব্যাপারে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠকও করেছেন আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স মার্শাল। এই মাসের শেষে আরও কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। ভারতের বোর্ড কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠকের কথা আছে তার। দুই দেশকেই বলা হবে ম্যাচ পাতানোর ঘটনা যেন এখন থেকে ফৌজদারি মামলা হিসেবেও আদালতে নেওয়া হয়। আইসিসি চাইছে, প্রথম পদক্ষেপটা যেন শ্রীলংকা সরকারই নেয়।

    বিশেষ ক্রীড়া আইনে ম্যাচ পাতানোর ঘটনায় ফৌজদারি মামলা হয় শুধু অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। যুক্তরাজ্যে ম্যাচ পাতানোর ঘটনা আদালতে গেলেও সেটা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। ভারত ও শ্রীলংকা অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকা পথে হাঁটবে কিনা, সেটা জানা যাবে কিছুদিনের মাঝেই।