• অস্ট্রেলিয়ার আরব আমিরাত সফর
  • " />

     

    আব্বাসের পর ফাখার-আজহারে আধিপত্য পাকিস্তানের

    আব্বাসের পর ফাখার-আজহারে আধিপত্য পাকিস্তানের    


    ক্যারিয়ারসেরা বোলিং আব্বাসের, আবুধাবি টেস্টে/ক্রিকইনফো


    আবুধাবি টেস্ট
    টস- পাকিস্তান (ব্যাটিং) 
    দ্বিতীয় দিনশেষে
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ২৮২ (ফাখার ৯৪, আজহার ৯৪, লায়ন ৪/৭৮, ল্যাবুশেন ৩/৪৫) ও ২য় ইনিংস* ১৪৪/২ (ফাখার ৬৬, আজহার ৫৪*, লায়ন ১/৫৯)  
    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ১৪৫ (ফিঞ্চ ৩৯, স্টার্ক ৩৪, আব্বাস ৫/৩৩, আসিফ ৩/২৩)
    ২য় ইনিংসে পাকিস্তান ৮ উইকেট নিয়ে ২৮১ রানে এগিয়ে 


    টেস্টের বয়স মাত্র দুইদিন, তবে এরই মাঝে অস্ট্রেলিয়ার ওপর অনেকখানি আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিন সেই আধিপত্যের মাত্রা ছিল তীব্র। পেস বোলিংয়ে নাকাল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানের স্পিনে এলোমেলো হয়ে পড়েছে তাদের ব্যাটিং। পরে ফাখার জামান ও আজহার আলির ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় দিনশেষেই ২৮১ রানে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। দুবাইয়ে শেষদিন পুরো ব্যাটিং করে দারুণ ড্র পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, এবার বোধহয় প্রয়োজন হবে আরও বেশিকিছু। প্রথমে বোলিংয়ে, পরে চতুর্থ ইনিংসের ব্যাটিংয়ে। 

    প্রথম দিন লাঞ্চের আগে পাঁচ উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান, দ্বিতীয় দিন সমানসংখ্যক উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে পাকিস্তান ফাখার-সরফরাজে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, মারনাস ল্যাবুশেন ও মিচেল স্টার্কের ত্রিশের উত্তর-দক্ষিণ দিকের ইনিংস তেমন প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার জন্য। 

    লাইন, লেংথের সঙ্গে বলের মুভমেন্ট- মোহাম্মদ আব্বাস ধারাবাহিকতার দারুণ সব গল্প লিখে চলেছেন। শন মার্শ, ট্রাভিস হেডের উইকেট দুটিই তার প্রমাণ। লাইন-লেংথ বিচার করে খেলতে গিয়েও আব্বাসের আদায় করে নেওয়া মুভমেন্টে ধরা পড়েছেন দুজনই। মিচেল মার্শকে ক্যাচ বানিয়ে লাঞ্চের আগে অস্ট্রেলিয়াকে ধসের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন ইয়াসির শাহ। 

    অ্যারন ফিঞ্চ টিকে ছিলেন, লড়াই করছিলেন। আসিফকে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি করতে পেরেছেন ৩৯ রান, যা হয়ে থেকেছে অস্ট্রেলিয়ান ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর। লাঞ্চের ঠিক আগের বলে আসিফের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন টিম পেইন- আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম নায়ক। 

    ল্যাবুশেন ও স্টার্কের প্রতিরোধের ফল হিসেবে এসেছে ৩৭ রান। বোলারস ব্যাকড্রাইভে হাত লাগিয়ে ল্যাবুশেনকে রান-আউট করে সে জুটি ভেঙেছেন ইয়াসির। ন্যাথান লায়নকে ফিরিয়েছেন প্রতিপক্ষ দলে তার ভূমিকায় থাকা আসিফ, তাকে পরিষ্কার বোল্ড করেছেন। 

    ৩৪ রান করলেও স্টার্ক এরপর পেয়েছেন টেইল-এন্ডারের ব্যবস্থাপত্রই, আব্বাসের ইয়র্কারে ব্যাট নামিয়েও নাগাল না পেয়ে এলবিডব্লিউ। শেষ উইকেটটা রিভিউ নিয়ে পেয়েছে পাকিস্তান। ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন আব্বাস, ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার তার এটিই। 

    ১৩৭ রানের লিড নিয়ে পাকিস্তানের শুরুটা ঠিক আত্মবিশ্বাসী হয়নি, ম্যাচে দ্বিতীয়বার স্টার্কের শিকার হাফিজ, এবার ৬ রান করে। তবে আগের ইনিংসের আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছেন ফাখার, অভিষেক টেস্টে পেয়েছেন জোড়া ফিফটি। ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের আধিপত্যর শুরুটা করেছেন, তাকে আউট করতে লায়নকে নিজের বলে নিতে হয়েছে অতিমানবীয় ক্যাচ। ফাখার তার আগে করেছেন ৬৬। 

    ৯১ রানের জুটিতে সমান কার্যকর ছিলেন আজহার আলি, আক্রমণাত্মক ফাখারকে সঙ্গ দিয়েছেন দারুণভাবে। আজহারের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, তবে এলবিডব্লিউতে ইমপ্যাক্ট আম্পায়ারস কল হয়েছে তিন মিটারের নিয়ম অনুযায়ী। দিনের শেষটা হারিস সোহেলকে নিয়ে নির্বিঘ্নে কাটিয়েছেন তিনি, নিজে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকে। আর পাকিস্তানকে অনেকখানি এগিয়ে দিয়ে।