আশা নিরাশার সুইপ-২, এবং সৌম্য হতে সাবধান
‘হ্যালো, স্টাম্প’!
কাট করার জন্য সরে গিয়েছিলেন শেন উইলিয়ামস। মাহমুদউল্লাহর বলটা লাইন ধরে রাখলো, উইলিয়ামসের ব্যাটকে ফাঁকি দিল। এরপর ফাঁকি দিল স্টাম্পকেও, তবে বলের সঙ্গে স্টাম্পের দূরত্বটা যেন ছিল নিশ্বাস-সমান। মুশফিকও বোকা বনলেন, হলো বাই চার। বেঁচে গেলেন উইলিয়ামস। ২৪তম ওভারের পঞ্চম বল ছিল এটি। ৩১তম ওভারে এলেন আবু হায়দার। লেংথ বলটা ভেতরের দিকে ঢুকলো, আবারও স্টাম্পকে বলে গেল ‘হ্যালো’। মুশফিক এবার ধরলেন, উইলিয়ামস বাঁচলেন আবারও। ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ইনিংস খেললেন এই বাঁহাতি, তবে জেতাতে পারলেন না দলকে।
আশা-নিরাশার সুইপ, পর্ব-২
আগের দিন সুইপে সফল হয়েছিলেন, টেইলর ব্যর্থও হয়েছিলেন। এদিনও নাজমুল অপুকে স্লগ সুইপে ছয় মারলেন, রিভার্স সুইপে চার মারলেন। তবে টেইলরের বিপদ ডেকে আনলো ওই সুইপই। নাজমুল লাইনটা সরিয়ে নিলেন অফস্টাম্প থেকে, কমিয়ে আনলেন লেংথও। টেইলর স্লগ সুইপ করতে গেলেন, বলটা আকাশেই উঠলো শুধু। ক্যাচ নিলেন মুশফিকই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৩ বলে ৭৫ রান করে মাহমুদউল্লাহকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন টেইলর। এদিনও আউট হলেন ওই ৭৫ রানেই, একটি বল কম খেলে।
‘দেজা ভু’-তে ভিন্ন ফল
দ্বিতীয় ওয়ানডে, দ্বিতীয় ইনিংস, চতুর্থ বল। জারভিসের ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা মিস করে গেল লিটনের ইনসাইড-এজ, আম্পায়ার রড টাকার দিলেন এলবিডব্লিউ। রিভিউয়ে হক-আই দেখালো বল মিস করে যেত লেগস্টাম্প। বেঁচে গেলেন লিটন। তৃতীয় ওয়ানডে, দ্বিতীয় ইনিংস, প্রথম বল। জারভিসের বলটা আবারও মিস করে গেলেন লিটন, এবার এলবিডব্লিউ দিলেন মাসুদুর রহমান। আবার রিভিউ লিটনের, তবে এবার বাঁচলেন না। হক-আই দেখালো, বল ক্লিপ করে যেতো লেগস্টাম্প। আগেরদিন প্যাডের বাইরের অংশে লেগেছিল লিটনের, এবার লেগেছিল ভেতরের অংশেই।
সৌম্য হতে সাবধান
ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে সিকান্দার রাজার বলটা মারলেন সৌম্য, সোজা গিয়ে ইমরুলের হাতে। সিঙ্গেল হলো ঠিকই, তবে ইমরুল দ্বারস্থ হলেন ফিজিওর। ফিজিও ব্যান্ড পরিয়ে গেলেন, বাকি ইনিংস ইমরুল খেললেন সেটা নিয়েই। এক ওভার পরে আবার স্ট্রেইট ড্রাইভ সৌম্যর, এবার অবশ্য ইমরুল তটস্থ ছিলেন আগে থেকেই। হাত বাঁচানোর চেয়ে ক্রিজ বাঁচানোতেই লক্ষ্য বেশি ছিল তার, সৌম্যর শট অবশ্য ঠিকই গিয়ে লাগলো ওপ্রান্তের স্টাম্পে। বোলার রিচার্ড এনগারাভা চেষ্টা করেও হাত লাগাতে পারলেন না, ইমরুলেরও হলো না কোনও বিপদ।