নো-বলে নজর রাখা উচিত তৃতীয় আম্পায়ারেরই: বাটলার
দুইবার একই বোলারের বলে আউট হয়েছিলেন বেন স্টোকস। ভাগ্যক্রমে দুইবারই তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিয়ে দেখা গেছে, লাকশান সান্দাকান নো-বল করেছেন! ফলে আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান স্টোকস। ইংল্যান্ডের সহ অধিনায়ক জস বাটলার মনে করছেন, এখন থেকে মাঠে থাকা আম্পায়ার নন, নো-বলের প্রতি নজর রাখা উচিত তৃতীয় আম্পায়ারেরই।
২২ ও ৩২ রানে সান্দাকানের বলে আউট হয়েছিলেন স্টোকস, দুইবারই তৃতীয় আম্পায়ার মাঠে থাকা আম্পায়ারদের জানিয়ে দেন নো-বলের কথা। তার চেয়েও বড় ব্যাপার, প্রথম স্পেলে করা সান্দাকানের ৪০ শতাংশ বলই নাকি ছিল নো-বল! এদের মাঝে মাত্র ৬ শতাংশই ধরতে পেরেছিলেন মাঠের আম্পায়াররা।
বারবার যদি তৃতীয় আম্পায়ারকেই ধরিয়ে দিতে হয় নো-বলের ব্যাপারটা, তাহলে তাদেরই এই দায়িত্ব পালন করা উচিত বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন বাটলার, ‘আমি চাই এখন থেকে তৃতীয় আম্পায়ারই নো-বল ডাকুক। তিনি নিজের জায়গায় বসে টিভিতে দেখবেন ও মাঠে থাকা আম্পায়ারকে জানাবেন। এখন তো দুই আম্পায়ারের মাঝে সবসময়ই যোগাযোগ হয়।’
বাটলার যা চাইছেন, সেটা অবশ্য কয়েক বছর আগে ইংল্যাটা-পাকিস্তান সিরিজে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। তবে ব্যয়বহুল বলে সেটা আর রাখা হয়নি। বাটলার বলছেন, তৃতীয় আম্পায়ার নো-বল ডাকলে সেটা মাঠের আম্পায়ারেরই সুবিধা, ‘এখন তো আউট হওয়ার পর প্রায়ই নো-বল দেখা হয়। আম্পায়ার যদি অন্য সময় নো-বল মিস করেন, তাহলে ব্যাটিং করা দলের অনেক রান থেকে বঞ্চিত হয়। মাঠের আম্পায়ারের কাজটা অনেক কঠিন। তাঁরা যদি তৃতীয় আম্পায়ার থেকে কিছুটা সাহায্য পায়, নো-বল নিয়ে তাহলে এত বিতর্ক থাকে না।’
অনেকেই মনে করেন, টেস্টেও যদি নো-বলে ফ্রি হিট দেওয়া হয়, তাহলে নো-বলের সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনও এরকমটাই চান, ‘যদি অন্য সব ফরম্যাটে ফ্রি হিট থাকে, তাহলে টেস্টেও থাকা উচিত। এখন তো প্রযুক্তি অনেক উন্নত, কোনো নো-বলই মিস হবে না। আইসিসিকে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যেন কোনভাবেই নো-বল মিস না যায়।’