• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    ৬ গোল, ২ লাল কার্ডে শেষ আয়াক্স-বায়ার্ন ক্লাসিক

    ৬ গোল, ২ লাল কার্ডে শেষ আয়াক্স-বায়ার্ন ক্লাসিক    

    কী হয়নি এই ম্যাচে! দুই দলের ফুটবলার লাল কার্ড দেখেছেন, দুই দলই পেয়েছে পেনাল্টি। দুই দলই একবার করে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যাচে। নাটকীয় এক ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখ ও আয়াক্সের কেউই। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আয়াক্সের সাথে ড্র করেছে বায়ার্ন। ঘটনাবহুল এই ম্যাচে ৩-৩ গোলে ড্র করেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলতে গেল জার্মান ক্লাবটি।

    ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, এই সমীকরণ সামনে রেখে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বায়ার্নের। ১৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডফস্কি। কর্নার থেকে পাওয়া বলে বক্সের ভেতরে দাড়িয়ে সহজেই বল জালে জড়িয়েছেন তিনি। ২৫ মিনিটে ফ্র্যাঙ্ক রিবেরির শট ঠেকিয়ে দেন আয়াক্স কিপার ওনানা। পরের মিনিটে সুযোগ এসেছিল আয়াক্সের ভ্যান ডি বিকের সামনে, তাঁর দারুণ এক হেড বাঁচিয়ে দেন ম্যানুয়েল নয়্যার। ২৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন লেভানডফস্কি, তাঁর শটও ঠেকিয়ে দেন আয়াক্স কিপার। প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে আয়াক্সের হাকিম জিয়েচের হেড ঠেকিয়ে দেন নয়্যার, এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বায়ার্ন।

    দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে সমতা আনে আয়াক্স। ডনি ভ্যান ডি বিকের বাড়ান বলে গোল করেন ডুসান ট্যাডিচ। এর ছয় মিনিট পর ধাক্কা খায় আয়াক্স, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মাক্সিমিলিয়ান ওবার। ৭৫ মিনিটে বাজে ফাউল করে মাঠ ছাড়তে হয় বায়ার্নের টমাস মুলারকেও। ৮১ মিনিটে জেরম বোয়াটিংয়ের ফাউলে পেনাল্টি পায় আয়াক্স, সেখান থেকে দলকে এগিয়ে দেন ট্যাডিচ।

    সেই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ছয় মিনিট পর পেনাল্টি পায় বায়ার্নও। পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লেভানডফস্কি। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে বক্সের ভেতরে বল পান কিংসলে কোমান। তাঁর ডান পায়ের জোরালো শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন ওনানা। তাঁর গোলেই নিশ্চিত হয়ে যায় বায়ার্নের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ৯৫ মিনিটে সমতা এনেছিলেন নিকোলাস টালিয়াফিকো, তাতে আর লাভ হয়নি। ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ায় শেষ পর্যন্ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় বায়ার্নই। ৬ ম্যাচে বায়ার্নের পয়েন্ট ১৪, আয়াক্সের ১২।

     

    অন্য ম্যাচে লেরয় সানের জোড়া গোলে হফেনহেইমকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই পরের রাউন্ডে গেলো ম্যানচেস্টার সিটি। ১৬ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল হফেনহেইমই, পেনাল্টি থেকে গোল করেন আন্দ্রেজ কামারিচ। এরপর ৪৫ ও ৬১ মিনিটে দুই গোল করেন সিটির জয় নিশ্চিত করেন সানে। গ্রুপের অন্য ম্যাচে শাখতারের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে রানার্সআপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে গেছে লিঁও।