বল টেম্পারিংয়ের পরিকল্পনা 'পাশ কাটিয়ে' গিয়েছিলেন স্মিথ
কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের পরিকল্পনাকে ‘পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলেন’ তখনকার অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে অশ্রুসিক্ত সংবাদ সম্মেলনের পর এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্মিথ জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনাকে তার এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ হয়নি, অধিনায়ক হিসেবে তার ব্যর্থতা সেটাই।
“আমি এ বিষয়ে কিছু জানতে চাই না, এটা বলে পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছিলাম”, বলছেন স্মিথ। তবে সে সময় ওয়ার্নার-ব্যানক্রফটকে তার আটকানো উচিৎ ছিল বলে উপলব্ধি তার, “তখনই আমার সুযোগ ছিল কিছু ঘটতে দেওয়া সেটাকে আটকানো। আমার জন্য ব্যাপারটা এমন- সেই ঘরে আমি এমন কিছু পাশ কাটিয়ে গিয়েছিলাম, যেটা আটকানোর সুযোগ ছিল আমার। আমার সেটা করা উচিৎ ছিল।”
“মাঠে এরপর কিছু ঘটেছে, যেটা আটকানোর সুযোগ ছিল আমার। ‘আমি কিছু জানতে চাই না’ না বলে আমার এটা থামাতে হতো। অধিনায়ক হিসেবে এটিই আমার ব্যর্থতা, আমি এর পুরো দায় নিয়েছি।”
কেপটাউন টেস্টের এই ঘটনার পর সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নারের মতো স্মিথও নিষিদ্ধ হয়েছেন এক বছরের জন্য, আরেক ক্রিকেটার ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে দেওয়া হয়েছে নয় মাসের নিষেধাজ্ঞা। তবে এ পরিকল্পনার ‘মূল হোতা’ ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘ঠিকঠাক’ বলেই জানিয়েছেন স্মিথ। তিনি ড্রেসিংরুমে উপস্থিত থাকার সময় এই প্রথম বল টেম্পারিংয়ে্র অভিজ্ঞতা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্মিথ, “আমি যতদূর জানি, এটাই প্রথমবার ছিল। বিশ্বের অন্য দলগুলো কী করে, সেটা বিচার করতে পারব না আমি। যে কোনও ম্যাচেই আপনি বলের মুভমেন্ট চাইবেন। তবে এটা নিয়ম মেনে করাতে হবে।”
আপাতত নিয়ম মেনে ২০১৯ সালের মার্চে পর্যন্ত থাকবে স্মিথের নিষেধাজ্ঞা। তার আগে এই কঠিন সময়ের চিত্রটাও তুলে ধরেছেন তিনি, “এখন ঠিকঠাক আছে সব। দক্ষিণ আফ্রিকার সেই ঘটনার পর কিছুদিন বেশ অন্ধকারে ছিলাম, কঠিন কিছু দিন গেছে। তবে সেসব এখন দূর অতীত। জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই, তবে এখন আমি ঠিক আছি, ঠিক পথেই এগুচ্ছি।”
“কঠিন দিন গেছে, তবে আমি ভাগ্যবান যে এ সময়ে বেশ কিছু মানুষকে আমি পাশে পেয়েছি যারা আমাকে সহায়তা করেছে। এমনও দিন গেছে যে আমি বিছানা ছেড়েই উঠতে চাইতাম না। সে সময়েই তারা আমাকে সহায়তা করেছে, জানিয়েছে যে, এটা ঠিকঠাকই আছে। আমি ভুল করেছি, বেশ বড় ভুল। এখন আমি ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করছি, সামনে এগুচ্ছি।”
সম্প্রতি ভোডাফোনের একটি বিজ্ঞাপন করেছেন স্মিথ, এসেছেন আলোচনায়। এর মাঝে খেলেছেন কানাডার গ্লোবাল ও ক্যারিবিয়ান টি-টোয়েন্টি লিগে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সামনের মৌসুমে খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটা পারছেন না তিনি বিসিবির সিদ্ধান্তের কারণে। আপাতত খেলেছেন গ্রেড ক্রিকেট, সামনের ফেব্রুয়ারিতে খেলবেন পাকিস্তান সুপার লিগে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে শেফিল্ড শিল্ড ও বিগব্যাশেও নিষেধাজ্ঞা আছে তার। খেলতে পারেননি আইপিএলের গত মৌসুমেও। তবে রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে চুক্তি আছে তার।