সোলশায়ারে ইউনাইটেডের আটে আট
হোসে মরিনহো যখন বরখাস্ত হলেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তখন শুধু হতাশা আর হতাশা। ওলে গানার সোলশায়ার এসেই বদলে দিলেন সবকিছু, একের পর এক ম্যাচ জিতেই চলেছে ইউনাইটেড। ইউনাইটেডের জয়যাত্রাটা বজায় থাকল গতকালও। এফ এ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে দুর্দান্ত দলীয় পারফরম্যান্সে আর্সেনালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে পরের রাউন্ডে উঠল ইউনাইটেড।
ঘরের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম সুযোগটা অবশ্য এসেছিল আর্সেনালেরই। ২৫ মিনিটে অ্যালেক্স আইয়োবির শট ঠেকিয়ে দেন রোমেরো। ৩১ মিনিটে এগিয়ে যায় ইউনাইটেডই। রোমেলু লুকাকুর থ্রুতে বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন অ্যালেক্সিস সানচেজ। কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে তাঁর ডান পায়ের শট চেককে বোকা বানায়।
দুই মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ায় ইউনাইটেড। এবারও অ্যাসিস্টে ছিলেন লুকাকুই। দারুণ এক পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ান বলেই বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন জেসে লিনগার্ড। ছয় মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় গোল পেতে পারতেন লিনগার্ড, তাঁর শট পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
বিরতির দুই মিনিট আগে এক গোল শোধ করে আর্সেনাল। আলেক্সান্দ্রে লাকাজেতের পাসে বক্সের ভেতর বল পান পিয়েরে এমেরিক অবামিয়াং। তাঁর বাঁ পায়ের জোরালো শট আটকাতে পারেননি রোমেরো। ৪৫ মিনিটে লাকাজেতের দারুণ একটি শট ঠেকিয়ে দেন রোমেরো, ২-১ এ এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে ইউনাইটেড।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ২৫ মিনিটে দুই দলের কেউই তেমন একটা গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৭৩ মিনিটে লাকাজেতকে আবার হতাশ করেন রোমেরো। ৮১ মিনিটে পল পগবার শট ঠেকিয়ে দেন চেক। পরের মিনিটেই গোল করে ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত করেন অ্যান্থনি মার্শিয়াল। দারুণ এক পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করে আর্সেনালের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই পরের রাউন্ডে গেল ইউনাইটেড, ২০১৭ সালের জানুয়ারির পর এই প্রথম সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে টানা আট ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেল তাঁরা। এই নিয়ে এমিরেটস স্টেডিয়ামে ছয়টি ম্যাচ ছিল ইউনাইটেড, সফরকারী কোনো দলই এই স্টেডিয়ামে এতো ম্যাচ জেতেনি।