অ্যাশেজের জন্য বিশ্বকাপে নাও খেলতে পারেন স্মিথ
অ্যাশেজ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে নাও খেলতে পারেন বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ থাকা সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। চোটের কারণে বিপিএল থেকে ফিরে যাওয়া স্মিথের কনুইয়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে, তবে মার্চে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর তাকে দলে ফেরানোর ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চায় না অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট। আর অ্যাশেজের কথা মাথায় রেখে স্মিথকে ‘এ’ দলের কোনও সফরে বা কোনও কাউন্টি দলের হয়ে দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেট খেলতেও পাঠানো হতে পারে।
মার্চের ২৯ তারিখের পর থেকে জাতীয় দলে নির্বাচিত হওয়ার জন্য বিবেচ্য হবেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। দুজনই খেলতে এসেছিলেন বিপিএলে, তবে দুজনই টুর্নামেন্ট শেষ না করেই ফিরে গেছেন কনুইয়ের চোট নিয়ে। ওয়ার্নারের চোটটি ছোটখাট হলেও স্মিথেরটি একটু সিরিয়াসই। এখনও তার হাতে ঝুলছে প্লাস্টার, ফেব্রুয়ারির শেষদিকে সেটি খোলার পর শুরু হবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। এরপর স্মিথ নামবেন ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে। তবে বিশ্বকাপের জন্য তাকে নিয়ে কোনও তাড়াহুড়ো করা হবে না।
“তাদের কনুইয়ের কী অবস্থা, সেটা নিয়ে আগে আমাদের কাজ করে যেতে হবে”, বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার, “স্কোয়াডে ফেরার আগে তাদের কিছু ক্রিকেটের প্রয়োজন। সবই আসলে ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বের অংশ, কী ঘটে আমরা সেটা দেখার জন্যই অপেক্ষা করব।”
“এখন থেকে তারা কতোখানি ক্রিকেট খেলতে পারে, সেটা দেখার বিষয়। তবে আমরা নিশ্চিত, আমরা কিছু না কিছু বের করে ফেলবো। তারা সুযোগ পাবে। কোনও কিছু তাদের থামাতে পারবে বলে মনে হয় না।”
“আমরা দুজন দারুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে কথা বলছি। শুধু ভাল ক্রিকেটার না, দারুণ ক্রিকেটার তারা দুজন। কাগজে-কলমে তাদেরকে (বিশ্বকাপ) দলে না নেওয়াটা পাগলামো হয়ে যাবে।”
তবে বাস্তবতা অবশ্য বেশ জটিলই এখন। স্মিথ-ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হয়ে যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ার, যার সূচি নির্ধারিত হয়নি এখনও। এরপর স্মিথ-ওয়ার্নার সুযোগ পাবেন আইপিএলে নিজেদেরকে দেখানোর। ২৩ এপ্রিলের মধ্যে ঘোষণা করতে হবে বিশ্বকাপের স্কোয়াড, তার আগে অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে খেলবে ১২টি ম্যাচ। আর বিশ্বকাপের পর আগস্ট থেকে ইংল্যান্ডের মাটিতে শুরু হবে অ্যাশেজ।
ল্যাঙ্গার মনে করিয়ে দিচ্ছেন এই ঠাসা সূচির কথাই, “সূচিটা কঠিন। আমরা সবাই জানি, বিশ্বকাপও আসছে। পরের ১২ ম্যাচেই বিশ্বকাপের কাছাকাছি একটা স্কোয়াদ দাঁড় করানোর চেষ্টা করতে হবে আমাদের। দলের জন্য কে সবচেয়ে ভাল, সেটা খেয়াল করতে হবে। কারও ব্যক্তিগত ব্যাপারে খেয়াল করে লাভ নেই, সেটাতে কাজ হবে না। হয়তো কারও জন্য ভাল হতে পারে, তবে আমাদের বিশ্বকাপও জেতার জন্য যেতে হবে। এই সূচিই মেনে নিতে হবে আমাদের।”
“বিশ্বকাপের ঠিক পরই অ্যাশেজ- অভূতপূর্ব এক ব্যাপার। তবে আমরা ভাগ্যবান, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে অনেক মেধা আছে, আমাদেরকে সেরা উপায়েই ব্যবস্থা করতে হবে সবকিছুর। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও ক্রিকেট ম্যাচ, শিল্ড ম্যাচ, কাউন্টি ম্যাচ, নির্বাচিত হওয়ার জন্য সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।”