চেলসিকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ইউনাইটেড
লিগে একের পর এক হারে সময়টা একদমই ভালো কাটছে না তাদের। ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে চেলসি কোচ মাউরিসিও সারির চাকরি নিয়েই এখন টানাটানি। চেলসির কোচ হিসেবে সারির অবস্থাটা আরও নড়বড়ে করে দিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এফ এ কাপের পঞ্চম রাউন্ডে ইউনাইটেডের কাছে ২-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে চেলসি।
স্টামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচের শুরু থেকে রাজত্ব ছিল সফরকারী ইউনাইটেডেরই। ৪ মিনিটে বক্সের ভেতর বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন রোমেলু লুকাকু। ৯ মিনিটে নেমানজা মাতিচের ক্রসে ক্রিস স্মালিংয়ের হেড দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন আরিজাবালাগা। দুই মিনিট পর ডেভিড লুইজ ও পেদ্রোর নেওয়া পরপর দুটি শট ঠেকিয়ে দেন রোমেরো।
১৫ মিনিটে আবার গোলের সুযোগ আসে ইউনাইটেডের সামনে, হুয়ান মাতার পাসে বক্সের বাইরে থেকে অ্যান্ডার হেরেরার নেওয়ার ডান পায়ে জোরালো শট বাঁচিয়ে দিয়েছেন আরিজাবালাগা। ১৯ মিনিটে মার্কাস র্যাশফোর্ডকেও হতাশ করেন তিনি।
এতোগুলো সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পর অবশেষে ৩১ মিনিটে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। পল পগবার দারুণ এক ক্রসে হেড করে বল জালে জড়ান হেরেরা। প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পগবা। র্যাশফোর্ডের ক্রসে পগবার গোলও এসেছে দুর্দান্ত একটি হেড থেকেই।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে তেমন কোনো আক্রমণ সাজাতে পারেনি চেলসি। ইউনাইটেডও প্রথমার্ধের মতো চেলসি রক্ষণভাগের পরীক্ষা নিতে পারেনি। ম্যাড়ম্যাড়ে দ্বিতীয়ার্ধে তাই আর গোলও হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে ইউনাইটেড।
ঘরের মাঠে শেষ ৫১ কাপ ম্যাচে এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার গোল করতে ব্যর্থ হলো চেলসি। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমের পর আবার এফ এ কাপের একই মৌসুমে আর্সেনাল ও চেলসিকে বিদায় করে দিল ইউনাইটেড। কোয়ার্টারে ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ উলভারহ্যাম্পটন।