• ইউরো বাছাইপর্ব
  • " />

     

    বার্গারের লোভে ম্যাচের মাঝপথে স্টেডিয়াম ছেড়েছিলেন হ্যাজার্ড!

    বার্গারের লোভে ম্যাচের মাঝপথে স্টেডিয়াম ছেড়েছিলেন হ্যাজার্ড!    

    ম্যাচের মাত্র ৬০ মিনিটেই কোচ মাঠ থেকে তুলে নিলেন একজন ফুটবলারকে। বাকি সময়টা তাকে বেঞ্চে বসেই খেলা দেখতে হবে বাধ্য হয়ে। এডেন হ্যাজার্ডের অবশ্য এতো ‘ধৈর্য’ ছিল না। এক সাক্ষাৎকারে বেলজিয়াম অধিনায়ক হ্যাজার্ড স্বীকার করেছেন, আট বছর আগে ম্যাচের মাঝপথেই বার্গার খাওয়ার জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে চলে গিয়েছিলেন তিনি!

    ঘটনাটা ২০১১ সালের ইউরো বাছাইপর্বের। ব্রাসেলসে তুরস্কের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন তরুণ হ্যাজার্ড। ম্যাচের এক ঘণ্টা না পেরোতেই তাকে তুলে নেন কোচ জর্জেস লিকেনস। বাকি ৩০ মিনিট বেঞ্চে বসে খেলা দেখতে চাননি হ্যাজার্ড।

    ঠিক সেই সময়ই উঠলো হ্যাজার্ডের ‘বার্গারের নেশা’। কোচকে না জানিয়েই এক ফাঁকে বের হয়ে গেলেন স্টেডিয়াম থেকে। সাথে জুটে গেলো কয়েকজন বন্ধুও, সবাই মিলে স্টেডিয়ামের পাশের রেস্তোরাতে বসে হ্যামবার্গার খেলেন!

    পুরো ব্যাপারটাই যে ছেলেমানুষি ছিল, সেটা এতো বছর পর স্বীকার করলেন হ্যাজার্ড। খানিকটা মজা করেই আরটিবিএফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলছেন, ওই বার্গার খাওয়াতেই নাকি পরবর্তীতে জাতীয় দলের হয়ে ভালো করেছেন, ‘বার্গার আমার খুব প্রিয়, বিশেষ করে আন্দালুসিয়ান বার্গার! এখনো আমি মাকে বলি আমার জন্য বেলজিয়ামের ওই বার্গার আনতে। ওই ব্যাপারটা আসলে ছেলেমানুষি ছিল। এখনো সেটা নিয়ে হাসাহাসি হয়! ওইটাই হয়ত আমাকে জাতীয় দলের ‘লিজেন্ড’ বানিয়ে দিয়েছে!’

     

     

    ওই ঘটনার জন্য পরে অবশ্য শাস্তিও পেতে হয়েছিল হ্যাজার্ডকে। কোচের অনুমতি ছাড়া স্টেডিয়ামের বাইরে যাওয়ায় বাছাইপর্বের স্লোভানিয়া ও আজারবাইজানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকতে হয় তাকে।