একদিনে দুই ম্যাচ, দুইবারই জিতল ভেনেজুয়েলার ক্লাব
ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে প্রায়ই ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর ম্যানেজারদের অভিযোগ করতে শোনা যায়। তোড়টা আরও বেশি থাকে প্রিমিয়ার লিগ ম্যানেজারদের। তারা আপাতত দেপোর্তিভো লারা কোচ লিওনার্দো গঞ্জালেজকে দেখে শিক্ষা নিতে পারেন। ভেনেজুয়েলার ক্লাবটিকে ৬ ঘন্টার ব্যবধানে খেলতে হয়েছে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দেপোর্তিভো শুধু অংশই নেয়নি, দুইটি ম্যাচ জিতেছেও তারা।
বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় লিগের ম্যাচে লানেরস ডি গুনারের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল দেপোর্তিভোর। ম্যাচের সময় পরিবর্তন করতে আগেই অনুরোধ জানিয়েছিল ক্লাবটি। কিন্তু ভেনেজুয়েলার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সেই ডাকে সাড়া না দিয়ে যথাসময় ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বাধ্য হয়েই তাই খেলতে নামতে হয় দেপোর্তিভোকে। গুনারকে ৩-২ গোলে হারিয়ে এরপর পুরো দল রওয়ানা হয় ঘরের মাঠের দিকে।
দুই ঘন্টার যাত্রা শেষে ঘরের মাঠে পৌঁছে রাত সাড়ে আটটার সময় আবার কোপা লিবার্তোদোরেসের বিপক্ষে খেলতে নামে দেপোর্তিভো। কনমিবলের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে ম্যাচটা তাদের খেলতে হয়েছে দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে। আর্জেন্টাইন ক্লাব হুরাকানের বিপক্ষে ম্যাচে আবার কিছুক্ষণের জন্য লোডশেডিংয়ের কবলেও পড়তে হয়েছিল গঞ্জালেজের দলকে। এরপর লাল কার্ড দেখে ১০ জনের দলেও পরিণত হয় স্বাগতিকরা। কিন্তু সব বাধা জয় করে শেষ পর্যন্ত হুরাকানকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় দেপোর্তিভো। মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের ম্যাচে যেটা আবার দেপোর্তিভোর বছরের প্রথম জয়!
দিনের প্রথম ম্যাচে গঞ্জালেজ নামিয়েছিলেন দ্বিতীয় সারির একটি দল। আর লিবার্তোদোরেসের জন্য মূল দলকে প্রস্তুত রেখেছিলেন। কিন্তু দুই ম্যাচেই ডাগ আউটে ছিলেন তিনি নিজেই। গঞ্জালেজ অবশ্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতে পারেন। আরেক ভেনেজুয়েলার ক্লাব জামোরাকেও দিতে হয়েছে একদিনে দুই ম্যাচের পরীক্ষা। প্রথম ম্যাচে ৪-০ গোলে উড়ে যাওয়ার পর ৪০০ মাইল পাড়ি দিয়ে রাতে আবার ব্রাজিলের ক্লাব অ্যাটলেটিকো মিনেরোর কাছে ৩-২ গোলে কোপা লিবার্তোদোরেসে হেরেছে জামোরা।